OPEC(ওপেক)

বিগত সালের BCS Preliminary- তে এখান থেকে প্রশ্ন এসেছে 6 টি।

তেল রপ্তানিকারক দেশসমুহের সংগঠন হচেছ OPEC বা Organization of Petroleum Exporting countries. 1960 সালে ১৪ডিসেম্বর ভেনেজুয়েলার (১৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) উদ্যোগে ৫টি দেশের সমন্বয়ে বাগদাদ কনফারেন্সে ওপেক গঠন করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন ৫ টি দেশঃ সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, কুয়েত ও ভেনিজুয়েলা।

ওপেক এর বর্তমানে এর সদস্য.১৪ টি (২১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) দেশ – অ্যাঙ্গোলা, আলজেরিয়া, ইকুয়েডর, ইকুয়াটরিয়াল গিনি, গ্যাবন, ইরাক, ইরান, কুয়েত, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, কঙ্গো, ভেনিজুয়েলা, সৌদি আরব, ইউএই। এদের মধ্যে ইরান ওপেকভূক্ত অ-আরব এশীয় দেশ। (২৪, ১৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) সর্বশেষ সদস্য ইকুয়েডর। ইন্দোনেশিয়া ২০০৯ সালের জানুরারী মাসে ওপেক থেকে তার সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেয়। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারিতে কাতার সদস্য পদ ত্যাগ করে।

সদর দপ্তরঃ সদর দপ্তর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ওপেক এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সানুসি বারকিল্ড ( ১ আগস্ট ২০১৬- বর্তমান)। ১৯৬০ সালের OPEC প্রতিষ্ঠার পূর্বে; মধ্য-পূর্বাঞ্চলীয় দেশগুলো(ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, ইউএই, সৌদি আরব) বাগদাদ অথবা বৈরুতে ওপেকের সদর দপ্তর স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ভেনিজুয়েলা একটি নিরপেক্ষ স্থানের দাবি জানালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এর সদরদপ্তর স্থাপিত হয়। (৩৯তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) ১৯৬৫ সালে জেনেভা, ওপেককে কুটনৈতিক সুযোগ-সুবিধা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে এর সদরদপ্তর অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় স্থানান্তরিত হয়।

ওপেকভুক্ত দেশগুলো কী কী কেভ লিউকে জিজ্ঞাস করছে- CAVE is ASKING LIEU

C- কঙ্গো
A- অ্যাঙ্গোলা
V- ভেনিজুয়েলা
E- ইকুয়েডর
A- আলজেরিয়া
S- সৌদি আরব
K- কুয়েত
I- ইরাক
N- নাইজেরিয়া
G- গ্যাবন
L- লিবিয়া
I- ইরান
E- ইকুয়াটরিয়াল গিনি
U- ইউএই

ওপেকর অন্যতম কর্মসূচি হলো
১। সদস্যরাষ্ট্রসমূহের তেল নীতির সমন্বয় সাধন করা।
২। নিজেদের স্বার্থে সদস্যদেশগুলোতে তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা ও অপরিশোধিত তেলে মূল্য নির্ধারণ করা। অতীতে, যখনই বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য পড়ে গিয়েছে, ওপেকভুক্ত দেশগুলো তেলের উত্পাদন কমিয়ে এনে তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে ভুমিকা রেখেছে।
৩। আন্তঃসংহতি বৃদ্ধি করা ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য মঞ্জুরি তহবিল গঠন করা।

পশ্চিমা বিশ্ব তেল আমদানির ওপর অধিকতর নির্ভরশীল বিধায় একদিকে তেলের গুরুত্ব যেমন বেড়েছে অন্যদিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ওপেকর গুরুত্ব ও প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭৩ সালে তেল সংকটের (১৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) সময় এই সংস্থা তেলে দরকাষাকষি করতে ও পশ্চিমা বিশ্বের বিরুদ্ধে তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে সক্ষম হয় । তবে পরবর্তীকালে নিদজেদের মধ্য বিদ্যমান নানা দ্বন্দ্ব, পার্থক্য ও ক্ষুদ্র স্বার্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টায় এর সংহতি অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে।

বৃহৎ তেল উৎপাদক কিন্তু ওপেকের সদস্য নয়ঃ রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, মেক্সিকো।

Add a Comment