টপ্পাগান এর উদ্ভব- কবিগানের সমসাময়িককালে, হিন্দি টপ্পাগান এর আদর্শে । বাংলা টপ্পাগানের জনক- নিধু বাবু বা রামনিধি গুপ্ত (১৭৪১-১৮৩৯)। আধুনিক বাংলা গীতিকবিতার সূত্রপাত- টপ্পাগান থেকে। টপ্পাগান রচয়িতা- কালী
পাঁচালী গানের শক্তিশালী কবি- দাশরথি রায়/দাশু রায়’ (১৮০৬-৫৭)। তাঁর পাঁচালী পালা প্রকাশিত হয়েছিল- দশ খণ্ডে। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে রচিত হয়। bcspreparation- থেকে।
শায়ের : শায়ের আরবি শব্দ অর্থ কবি। মুসলমান সমাজের শায়েরগণ ‘দোভাষী পুঁথি’ রচনা করতেন। শায়েরদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- আঠার শতকের ফকির গরীবুল্লাহ, সৈয়দ হামজা। উনিশ শতকের মোহাম্মদ দানেশ,
কবিওয়ালা :- কবিওয়ালারা ‘কবিগান’ রচনা করতেন। গোঁজলা গুই কবিগানের আদিগুরু। সমাজ জীবনের উৎসব-আনন্দের প্রয়োজনে কবিগানের আসর বসতো। কবিগানের আসরে একজন প্রধান গায়ক এবং কয়েকজন সহকারী থাকত। সহকারীদের বলা
কবিগান বাংলা লোকসংগীতের একটি বিশেষ ধারা। এই ধারায় লোককবিরা প্রতিযোগিতামূলক গানের আসরে অংশগ্রহণ করে থাকেন। গায়ককে কবি হতে হয়। তিনি মুখে মুখে পদ রচনা করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে সুরারোপ
শেখ ফয়জুল্লাহ (১৬শ শতক) মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের কবি। ফয়জুল্লাহর প্রধান তিনটি কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে সত্যপীরবিজয় (১৫৭৫), গোরক্ষবিজয় ও গাজীবিজয়। এ ছাড়াও তিনি জয়নবের চৌতিশা, সুলতান জমজমা, রাগমালা ও পদাবলী
গোরক্ষবিজয় নাথধর্মবিষয়ক আখ্যানকাব্য। যোগিশ্রেষ্ঠ গোরক্ষনাথের জীবন ও আধ্যাত্মিক সাধনার কথা এতে বিবৃত হয়েছে। উজ্জ্বল চারিত্রিক আদর্শের জন্য গোরক্ষনাথ নাথসিদ্ধাদের মধ্যে প্রধান হয়ে ওঠেন এবং সর্বত্র ভক্তি ও সমাদর
শ্যামাসংগীত কালী-বিষয়ক বাংলা ভক্তিগীতির একটি জনপ্রিয় ধারা। এই শ্রেণীর সঙ্গীত শাক্তপদাবলির একটি বিশিষ্ট পর্যায়। শাক্তকবিরা প্রধানত তন্ত্রাশ্রয়ী দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন বলে শ্যামাসংগীতে তন্ত্রদর্শন নানাভাবে দ্যোতিত। শ্যামাসঙ্গীতের পদগুলিতে কালী
আরাকান রাজসভায় যে সকল কবি বিশেষ পৃষ্ঠপোশকতা অর্জন করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন- দৌলত কাজী, মরদন কোরেশী, মাগন ঠাকুর, মহাকবি আলাওল, আবদুল করীম প্রমুখ মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে