IMF

১৯৪৫ সালে ব্রেটন উডস সম্মেলনের মাধ্যমে আইএমএফ(IMF-International Monetary Fund বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) প্রিতিষ্ঠিত হয়। এর সদস্য সংখ্যা বিশ্ব ব্যাংকের সদস্য সংখ্যার সমান ১৮৯ টি। এর সদর দপ্তর ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত। বিস্বব্যাপী আর্থিক সহযোগিতা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বেকারত্ব দূর করে বিশ্ব ব্যাপী দারিদ্র্য হ্রাস করা এইএমএফ এর মূল লক্ষ।

লক্ষ্য উদ্দেশ্য
উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে আমরা নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যগুলোর কথা জানতে পারি
বিস্বব্যাপী আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি ,
আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময়ে স্থিতিশীলতা,
সদস্য রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উনয়ন,
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা,
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার,
টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি,
বেকারত্ব দূর করা
বিশ্ব ব্যাপী দারিদ্র্য হ্রাস করা


কার্যাবলি

টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদান
পরামর্শ ও অর্থায়ন
দরিদ্র হ্রাসে ভূমিকা রাখা
বাণিজ্য বৈষম্য দূর করা
সদস্য রাষ্ট্রদের মুদ্রা বিনিময়ে স্থিতিশীলতা অর্জনে সহায়তা করে
অর্থনৈতিক মন্দা দূরকরতে স্বল্প সময়ের জন্য অর্থ সহায়তা
বিভিন্ন কর্মসুচীর মাধ্যমে সুদ মুক্ত ঋণ প্রদান।

বিশ্ব অর্থনীতির দেখভাল
সদস্য রাষ্ট্রের আর্থিক নীতি পর্যবেক্ষণ যাতে তাঁরা সুস্থিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে
সে সকল নীতির মূল্যায়ন ও তাদের ফলাফল বিবেচনা করা।
বিশ্ব ব্যাংকের সাথে MDG অর্জনে ও Poverty Reduction Strategic Papers এক সাথে কাজ করেছে।

উন্নয়নশীল বিশ্বে এর ভূমিকা
দরিদ্র নিরসনে ঋণ প্রদানের সময় Poverty Reduction Strategic Papers নামে একটি কৌশল পত্র প্রণয়ন করে। যা তাদের কার্য পদ্ধতি নির্ধারণ করে দেয়।
কল্যাণমুখী(?) বাজেট প্রণয়নে সহায়তা করে।
উন্নয়নমুলোক কাজের তত্ত্বাবধান ও স্থানীয় উন্নয়ন সহযোগী ও সুশিল সমাজকে তাতে অন্তর্ভূক্ত করে।
মুদ্রাস্ফীতি যাতে না ঘটে সেজন্য ট্যাক্সের মাধ্যমে অর্থ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ করে।
অভ্যন্তরিক ব্যাংক ব্যাবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদনে উদ্বুদ্ধ করে।

সমালোচনা
যে লক্ষ ও উদ্দেশ্য নিয়ে আইএমএফ প্রিতিষ্ঠিত হয়েছিল তা আজ পর্যন্ত অর্জিত হয় নি।
উন্নত দেশগুলোর অনুন্নত দেশের উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ
আইএমএফ এর গৃহীত নীতি অনেক সময় উন্নয়নের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি করে। আর এ মূল্যস্ফীতির বোঝা দরিদ্র দেশগুলো বইতে হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন পরিস্থিতিকে সামাল দিতে এর অস্বচ্ছ ও অযৌক্তিক নীতি। অনেক সময় প্রভাবশালী দেশগুলোর অসহযোগিতার কারনে সঠিক পদক্ষেপ নিতে না পারা। মুদ্রা বিনিময়কে স্থিতিশীল রাখতে চাইলে অনেক সময় তা সম্ভব হয় না। সব থেকে বড় কথা অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়ে অনাকাঙ্খিত হস্তক্ষেপ যেমন- বাজেট, প্রণয়ন, জ্বালানিতে ভর্তুকি উঠিয়ে দেওয়া। ও ঋণ দানের শর্ত হিসাবে অনেক বিষয়ে নাক গলানো। গিনি গুণাঙ্ক(Gini coefficient) এর মাধ্যমে দেখা যায় যে আইএমএফ আয় বৈষম্য বাড়িয়েছে। আইএমএফ এর Adjustment Policy গ্রহণ করতে অনেক দেশকে তার ঐতিহ্যগত আর্থ সামাজিক প্রথা ভাঙ্গতে হয়েছে। এইএমএফ এর পশ্চিমা দাতা গোষ্ঠীর কারনে ঋণ প্রদানে তাদের স্বার্থেরই প্রতিফলন ঘটে।

Add a Comment