মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
|বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ সেগুনবাগিচায় ভাড়া বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রাজধানীর আগারগাঁও-এ (এফ-১১/এ-বি, সিভিক সেক্টর) প্রতিষ্ঠানটির নতুন ভবন অবস্থিত।
ঢাকার আগারগাঁও এ ১৬ এপ্রিল ২০১৭ নবনির্মিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর উদ্ধোধনটি করা হয় । নতুন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটি প্রায় ২ একর জমির উপর ৯ তলা ভবন। ভবনটির ভূগর্ভে তিনটি তলা। ওপরের ছয়টি তলায় অফিস, মিলনায়তন, পাঠাগার, গবেষণাকেন্দ্র, ক্যানটিন, প্রদর্শনী কক্ষ। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সব মিলিয়ে নিদর্শন আছে প্রায় ১৫ হাজার। ভবনের স্থাপত্যশৈলী মনোমুগ্ধকর। ব্যতিক্রমী এই স্থাপত্যশৈলীর জাদুঘর ভবনটি আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালের ঠিক উল্টো দিকে। ছাদের ওপর আর সামনের দেয়াল থেকে কামান-বন্দুকের নলের মতো নানা আকারের কংক্রিটের নল বেরিয়ে এসেছে। দেয়ালেও কিছু কিছু ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়। অর্থাৎ ভবনটির নিকটে গেলে যুদ্ধের ক্ষতের একটি আবহ দর্শনার্থীদের মনে তৈরি হয়। আকাশের মতো অনন্ত, বিশাল আমাদের এই স্বাধীনতা। আকাশ দেখলে যেমন এর অসীমত্বের কথা মনে পড়ে, তেমনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন বিশাল ভবন দেখে এর বিশালতা অনুভব করা যায়। ১৯৯৬ সাল থেকে সেগুনবাগিচায় জ্বলছিল শিখা চির অম্লান। এটিও নতুন ভবনে আনা হয়েছে। এটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যুগ যুগ ধরে মানুষের হৃদয়ে অম্লান রাখার প্রতীক। অসাধারণ স্থাপত্যকলায় ফুটে উঠেছে মুক্তির ইতিহাসের প্রতিটি পাতা। সত্যি বলতে এক একটি উপকরণে যুদ্ধের গন্ধ অনুভব হয় এখানে গেলে । মনে হয় এখনই যুদ্ধ শুরু হবে। কথার প্রতিধ্বনিতে ও জাতীয় সংগীতে নতুন করে অন্যরকম অনুভূতি সঞ্চয় হয় । মনে হয় ২০১৮ তে না আমি একাত্তরের বাংলার মাটির রণাঙ্গনে হাঁটছি । এককথায় , মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে জানার এক অপূর্ব জায়গা এই জাদুঘর।
From: Zakir’s BCS Special