সংসদ সদস্য

বাংলাদেশ সংবিধানের ৬৫ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশে ‘জাতীয় সংসদ’ নামে একটি সংসদ থাকবে। প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত ৩০০ সদস্য ও সংরক্ষিত ৫০ টি নারী আসন নিয়ে সংসদ গঠিত হয়। সংসদ অধিবেশন পরিচালনার জন্য একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার থাকেন। তাঁরা সংসদে অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা

  • বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • বয়স ২৫ বা তার বেশি হতে হবে।
  • আদালত যদি অপ্রকৃতিস্থ ঘোষণা না করেন।
  • তাঁকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছে কিন্তু তা থেকে অব্যহতি লাভ করেছেন।
  • যদি তিনি কোন বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব না নিয়ে থাকেন, বা কোন বিদেশী রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার না করে থাকেন।
  • তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অনূ্যন দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন এবং তাঁহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত হয়েছে।
  • তিনি ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীন যে কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত না হইয়া থাকেন;
  • আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করছে না, এমন পদ ব্যতীত তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত না থাকেন;
  • তিনি কোন আইনের দ্বারা বা অধীন অনুরূপ নির্বাচনের জন্য অযোগ্য হন।

সংসদ-সদস্যের আসন শূন্য হওয়া

  • কোন সংসদ-সদস্য স্পীকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, স্পীকার- কিংবা ডেপুটি স্পীকার- যখন উক্ত পত্র প্রাপ্ত হন, তখন হইতে উক্ত সদস্যের আসন শূন্য হইবে।
  • তাঁহার নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ও শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিতে অসমর্থ হন। তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পূর্বে স্পীকার যথার্থ কারণে তাহা বর্ধিত করিতে পারিবেন।
  • সংসদের অনুমতি না লইয়া তিনি একাদিক্রমে নব্বই বৈঠক-দিবস অনুপস্থিত থাকেন;
  • সংসদ ভাঙ্গিয়া যায়;
  • কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরুপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি- উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহা হইলে সংসদে তাঁহার আসন শূন্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোন নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না।
  • কোন ব্যক্তি একই সময়ে দুই বা ততোধিক নির্বাচনী এলাকার সংসদ-সদস্য হইবেন না। তবে একাধিক আসনে নির্বাচন করতে পারবেন। তাঁহার সর্বশেষ নির্বাচনের ত্রিশ দিনের মধ্যে তিনি কোন্ নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করিতে ইচ্ছুক, তা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বাক্ষরযুক্ত ঘোষণা প্রদান করবেন এবং তিনি অন্য যে সকল নির্বাচনী এলাকা হইতে নির্বাচিত হইয়াছিলেন, অতঃপর সেই সকল এলাকার আসনসমূহ শূন্য হইবে; তা করতে অসমর্থ হলে তিনি যে সকল আসনে নির্বাচিত হইয়াছিলেন, সেই সকল আসন শূন্য হইবে;
  • সংসদীয় একাংশ যদি উপদল গঠন করে এবং সেই উপদল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হলে উক্ত উপদলের সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল হবে।

Add a Comment