শান্তি ও সহিষ্ণুতা: প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণের উপায়*****
|প্রথম আলো আলোচনা, ০১ জুলাই ২০১৮
দুই বছর আগে ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ফারাজ আইয়াজ হোসেনসহ আমরা ২৩ জন দেশি-বিদেশি বন্ধুকে হারিয়েছি।
শুধু হোলি আর্টিজানের ঘটনা নয়, বেশ কিছুদিন ধরে সমাজে বিভিন্ন অসহিষ্ণু ঘটনা দেখছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাহসিকতা ও সফলতার সঙ্গে সেসব ঘটনা মোকাবিলা করছে। তবে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে আমাদের সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রত্যেক মানুষ শান্তি চায়। শান্তি ও সহনশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কী ধরনের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতে পারে এবং এগুলো থেকে উত্তরণের উপায় আজকের আলোচনার প্রধান বিষয়।
আলোচনায় সুপারিশ
- শান্তি ও সহিষ্ণুতা প্রতিষ্ঠায় নৈতিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে এবং বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে
- জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কমিউনিটি মিডিয়ার কার্যকর ব্যবহার প্রয়োজন
- ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা নিশ্চিত করতে হবে এবং অন্য ধর্মকে যথাযথ সম্মান করতে হবে
- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি করতে হবে এবং মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারকারীকে শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে
- সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজের সমন্বয় করতে হবে এবং পরস্পরকে তাদের কাজের তথ্য ও জ্ঞান বিনিময় করে সহযোগিতা করতে হবে
- তরুণদের সঠিক শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সুপথে পরিচালিত করতে হবে