সরফরাজ খান

নবাব সুজাউদ্দিন খুব জাঁকজমক পছন্দ করতেন। তার রাজত্বের শেষ দিকে তিনি বিলাসিতা করেন। ফলে শাসন ব্যাপারে তার মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের উপর বেশি নির্ভরশীল হন। এই উপদেষ্টা প্রকৃতপক্ষে সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন তাদের স্বার্থপরতা ও ষড়যন্ত্রের দরুন রাজ্যের মধ্যে অশান্তির সূত্রপাত ঘটে। নবাব সুজাউদ্দিন খান ১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দে মারা গেলে তার পুত্র সরফরাজ খান বাংলার মসনদে আরোহণ করেন। পিতার শেষ উপদেশ অনুযায়ী নবাব সরফরাজ খান হাজী আহমদ, আলম চাঁদ ও জগৎ শেঠ ফতেহ চাঁদকে তাদের পদে বহাল রাখেন। তিনি খুব ধর্মানুরাগী ছিলেন কিন্তু শাসক হিসেবে দুর্বল ছিলেন। আরাম আয়েশে থাকতে ভালবাসতেন। কথিত আছে যে নবাব সরফরাজের হেরেমে ১৫০০ স্ত্রীলোক ছিল। তার দুর্বলতা এবং নতুন উপদেষ্টাদের কুমন্ত্রণা ও ষড়যন্ত্রের দরুন রাজ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এই সুযোগে বিহারের নায়েবে নাজিম আলীবর্দী খান তাকে পরাজিত ও নিহত করেন। ৯ই এপ্রিল ১৭৪০ আলীবর্দী খান মুর্শিদাবাদের মসনদ অধিকার করেন।

Add a Comment