উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী ও শাসকগণ

বে ও বেয়লিকঃ ক্ষুদ্র কোন জাতিগোষ্ঠীর নেতা কে বে বলা হয়। এটি অনেকটা ইংরেজি Mister বা ফরাসি Mon Sieur, অর্থাৎ My Lord এর মত। শব্দটি বেগম এর পুংলিঙ্গ। বে যে অঞ্চল বা প্রদেশের শাসন করেতেন তাকে বলা হত বেয়লিক।

রাজধানী সোগুত (১২৯৯–১৩৩৫, বুরসা (১৩৩৫–১৩৬৩, এডির্ন, (১৩৬৩–১৪৫৩) কনস্টান্টিনোপল, (১৪৫৩–১৯২২

সুলতান
– ১২৯৯–১৩২৬ প্রথম উসমান (প্রথম)
– ১৯১৮–১৯২২ ষষ্ঠ মুহাম্মদ (শেষ)
খলিফা
– ১৩৬২–১৩৮৯ প্রথম মুরাদ (প্রথম)
– ১৯২২–১৯২৪ দ্বিতীয় আবদুল মজিদ (শেষ)

– সালতানাত থেকে সাম্রাজ্যে রূপান্তর ১৪৫৩

উসমান গাজি (রাজত্বকাল ১৭ জানুয়ারি ১২৯৯ – ২৯ জুলাই ১৩২৬) ছিলেন উসমানীয় তুর্কিদের নেতা এবং উসমানীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। উসামান গাজির শাসনামলে উসমানীয় সালতানাতের বিস্তৃতি ছিল খুবই অল্প। তার মৃত্যুর পরের শতকে সেই সালতানাত এক বিশাল সাম্রাজ্যে পরিণত হয়। যা প্রায় প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পর পর্যন্ত টিকে ছিল। ঐতিহাসিকগণ ১৯২২ সাল এই সালতানাতের পতনের সময় বলে উল্লেখ করেন, অথবা ১৯২৩ সালে তুর্কিকে প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণার মাধ্যমে এই সালতানাতের পতন হয়, অথবা ১৯২৪ সালে খলিফাতাবাদের বিলপের মাধ্যমে এই সালতানাতের পতন বলে চিহ্নিত করা হয়।

ওরহান গাজি ( ২৯ জুলাই ১৩২৬ ‒ ১৩৬২) ছিলেন তৎকালে উসমানীয় বেয়লিক নামে পরিচিত উদীয়মান উসমানীয় সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সুলতান। তিনি প্রথম উসমান ও তার স্ত্রী মালহুন খাতুনের পুত্র। বাইজেন্টাইন সম্রাট তৃতীয় আন্ড্রোনিকোস পেলেইওলোগোসের বিরুদ্ধে তিনি পেলেকেননের যুদ্ধে বিজয়ী হন। ওরহান এছাড়াও বালিকেসিরের কারাসি ও আঙ্কারার আহিস অঞ্চলও অধিকার করেন।

প্রথম মুরাদ (রাজত্বকাল ১৩৬২ থেকে ১৩৮৯ সাল) ছিলেন উসমানীয় সুলতান। তিনি পূর্ববর্তী শাসক প্রথম ওরহানের পুত্র। প্রথম মুরাদ এড্রিনোপল জয় করেন। তিনি এর নাম রাখেন এদির্ন। ১৩৬৩ সালে তিনি এই শহরে উসমানীয় সালতানাতের নতুন রাজধানী স্থাপন করেন। এরপর বলকান অঞ্চলের অধিকাংশ জয় করে তিনি দক্ষিণপূর্ব ইউরোপে উসমানীয় সীমানা বৃদ্ধি করেন। তিনি উত্তর সার্বিয়া ও বুলগেরিয়ার রাজা এবং সেসাথে বাইজেন্টাইন সম্রাট পঞ্চম জন পেলাইওলোগোসকে কর দিতে বাধ্য করেন। প্রশাসনিক কারণে মুরাদ সালতানাতকে দুইটি প্রদেশে ভাগ করেন। এদের একটি হল আনাতোলিয়া (এশিয়া মাইনর) এবং অন্যটি হল রুমেলিয়া (বলকান)। সার্বীয়দের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় মুরাদের মৃত্যুর ফলে উসমানীয়রা সামরিকভাবে তাদের রাজ্যবিস্তার স্থগিত করে এবং দুর্বল বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের উপর মনোযোগ প্রদান করে।

প্রথম বায়েজীদ ( রাজত্বকাল ১৩৮৯ – ১৪০২ ) তিনি সুলতান প্রথম মুরাদ ও গুলচিচেক খাতুনের পুত্র। তিনি একটি সুবিশাল সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন। তিনি কনস্টান্টিনোপলও আক্রমণ করেছিলেন তবে তাতে ব্যর্থ হন। ১৪০২ সালে আঙ্কারার যুদ্ধে তিনি তৈমুর লঙের কাছে পরাজিত ও বন্দী হন। বন্দী অবস্থায় ১৪০৩ সালের মার্চে তিনি ইন্তেকাল করেন।

প্রথম মুহাম্মদ চেলেবি ( রাজত্বকাল ১৪১৩ থেকে ১৪২১ ) ছিলেন উসমানীয় সুলতান। তিনি সুলতান প্রথম বায়েজীদ ও তার স্ত্রী দাওলাত খাতুনের পুত্র। তার শাসনামল উসমানীয় গৃহযুদ্ধের কারণে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এই গৃহযুদ্ধের ফলে সালতানাত বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। মৃত্যুর পূর্বে তিনি সাম্রাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হন।
দ্বিতীয় মুরাদ ১৪২১ থেকে ১৪৪৪ সাল এবং ১৪৪৬ থেকে ১৪৫১ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছেন। মধ্যবর্তী দুই বছর তার ছেলে দ্বিতীয় মুহাম্মদ সিংহাসনে ছিলেন। দ্বিতীয় মুরাদ তার শাসনকালে বলকান এবং তুর্কি বেয়লিকগুলোর সামন্ত নেতাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই করেছেন। এই লড়াই ২৫ বছর টিকে ছিল। তিনি আমাসিয়ায় বড় হয়েছেন। পিতা সুলতান প্রথম মুহাম্মদের মৃত্যুর পর তিনি সিংহাসনে বসেন।

দ্বিতীয় মুহাম্মদ ছিলেন ৭ম উসমানীয় সুলতান। তিনি মুহাম্মদ ফাতেহ অর্থাৎ বিজয়ী মুহাম্মদ নামে পরিচিত। ১৪৪৪ সালের আগস্ট থেকে ১৪৪৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য তিনি সুলতান ছিলেন। এরপর ১৪৫১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় মসনদে অসেন। দ্বিতীয় দফায় তিনি ১৪৮১ সালের মে পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ২১ বছর বয়সে তিনি কনস্টান্টিনোপল জয় করেন। এর ফলে পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের পতন হয়। মুহাম্মদ আনাতোলিয়া এবং বসনিয়া পর্যন্ত দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ অভিযান অব্যাহত রাখেন। আধুনিক তুরস্ক ও মুসলিম বিশ্বে সুলতান মুহাম্মদ একজন বীর হিসেবে সম্মানিত হন। তার স্মরণে ইস্তানবুলের ফাতিহ জেলা, ফাতিহ সুলতান মুহাম্মদ সেতু ও ফাতিহ মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে।

দ্বিতীয় বায়েজীদ ছিলেন উসমানীয় সুলতান। ১৪৮১ থেকে ১৫১২ সাল পর্যন্ত তিনি রাজত্ব করেছেন। বায়েজীদ সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের জ্যেষ্ঠ পুত্র। বায়েজীদ তার শাসনামলে উসমানীয় সাম্রাজ্যের শক্তি বৃদ্ধি করেন। আলহাম্বরা ডিক্রি ঘোষণার পর উসমানীয় সাম্রাজ্যে স্পেনের ইহুদিদের আশ্রয় ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার জন্য তিনি খ্যাত।

প্রথম সেলিম দ্বিতিয় বায়েজীদের পুত্র। তিনি ছিলেন প্রথম উসমানীয় খলিফা এবং নবম উসমানীয় সুলতান। ১৫১২ থেকে ১৫২০ সাল পর্যন্ত উসমানীয় সুলতান ছিলেন। সাম্রাজ্যের ব্যাপক বিস্তৃতির জন্য তার শাসনামল পরিচিত। ১৫১৬ থেকে ১৫১৭ সাল পর্যন্ত চলমান যুদ্ধে উসমানীয়রা মিশরের মামলুক সালতানাত জয় করে নেয়। এর ফলে লেভান্ট, হেজাজ, তিহামাহ ও মিশর উসমানীয়দের অধিকারে আসে। তিনি ১৫১৭ সালে খাদেমুল হারামাইন শরিফাইন উপাধি ধারণ করেন। মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল জয় এবং একীভূত করার মাধ্যমে সেলিম মক্কা ও মদিনার রক্ষক হয়ে উঠেন। মধ্যপ্রাচ্যে সেলিমের রাজ্যবিস্তারের ফলে সাম্রাজ্যের সম্প্রাসরণ নীতিতে পরিবর্তন আসে। সেলিমের পূর্বে সাম্রাজ্য মূলত বলকান এবং এশিয়া মাইনরে কেন্দ্রীভূত ছিল।

প্রথম সুলাইমান (“সুলায়মান দ্য ম্যাগ্নিফিসেন্ট”, তুর্কি ভাষায় মুহতেশিম সুলাইমান বা মহৎ সুলায়মান নামে পশ্চিমা বিশ্বে পরিচিত, তুরস্কে কানুনি সুলতান সুলাইমান নামে পরিচিত) প্রথম সেলিমের পুত্র। তিনি ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের দশম এবং সবচেয়ে দীর্ঘকালব্যাপী শাসনরত সুলতান, যিনি ১৫২০ সাল থেকে ১৫৬৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উসমানীয় সাম্রাজ্য শাসন করেন। পাশ্চাত্ত্যে তিনি মহৎ সুলাইমান হিসেবেও পরিচিত। তিনি পুর্নবারের জন্য সম্পূর্ণভাবে উসমানীয় সাম্রাজ্যের নীতিমালাগুলো তৈরি করেছিলেন বলে প্রাচ্যে তাঁকে বলা হয় বিধানকর্তা সুলাইমান । প্রথম সুলাইমান ষোড়শ শতাব্দীর ইউরোপে একজন বিশিষ্ঠ রাজা হিসেবে স্থান লাভ করেন, যার শাসনামলে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির বিস্তার ঘটে।

সুলতান সুলাইমানের সেনাবাহিনী রোমান সাম্রাজ্য এবং হাঙ্গেরির অনেক শহরের পতন ঘটায়। কিন্তু ১৫২৯ সালে রোমান সম্রাট, পঞ্চম চার্লসের সেনাবাহিনী সুলতান সুলাইমানের সেনাবাহিনীকে ভিয়েনা শহর দখল করতে ব্যর্থ করে। প্রথম সুলাইমান পারস্যের সাফাভিদ সুলতান, প্রথম তাহমাসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং মধ্য প্রাচ্যের বেশির ভাগ অঞ্চল দখল করে নেন। তিনি উত্তর আফ্রিকায় আলজেরিয়া সহ বড় বড় অঞ্চলগুলো রোমান সাম্রাজ্যের হাত থেকে দখল করে নেয়। তাঁর শাসনামলে উসমানীয় নৌবাহিনী ভূমধ্যসাগর থেকে লোহিত সাগর ও পারস্য উপসাগর পর্যন্ত তাদের আধিপত্য বজায় রাখে। সুলতান সুলায়মান ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের সবেচেয়ে শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান সুলতান।

উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিস্তারকালে, সুলতান সুলাইমান ব্যাক্তিগতভাবে তাঁর সাম্রাজ্যের সমাজ ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, খাজনা ব্যবস্থা ও অপরাধের শাস্তি ব্যবস্থার বিষয়গুলোতে আইনপ্রণয়নসংক্রান্ত পরিবর্তন আনার আদেশ দেন। তিনি যেসব কানুনগুলো স্থাপন করে গেছেন, সেসব কানুনগুলো উসমানীয় সাম্রাজ্যে অনেক শতাব্দী ধরে প্রচলিত ছিল।[৫] সুলতান সুলাইমান যে শুধু একজন মহান রাজা ছিলেন তা নয়, তিনি একজন মহান কবিও ছিলেন। “মুহিব্বি” (অর্থ:প্রেমিক) নামক ছদ্ম উপনামে তিনি তুর্কি ও ফারসি ভাষায় বহু কালজয়ী কবিতা লিখেছেন। তাঁর শাসনামলে উসমানীয় সংস্কৃতির অনেক উন্নতি হয়। সুলতান সুলাইমান উসমানীয় তুর্কি ভাষা সহ আরো পাঁচটি ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে পারতেন: আরবী ভাষা, সার্বীয় ভাষা, ফার্সি ভাষা, উর্দু ভাষা এবং চাগাতাই ভাষা (একটি বিলুপ্ত তুর্কি ভাষা)।
জানা যায় যে, সুলতান সুলাইমান উসমানীয় সাম্রাজ্যের দু’শ বছরের সংসকৃতির নিয়ম ভঙ্গ করে তাঁর হারেমের একজন কানিজ, রোক্সেলানার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রোক্সেলানার নাম পরবর্তীকালে হুরেম সুলতান রাখা হয়। তিনি সুলতান সুলাইমানের পুত্র, সেলিম ইবনে সুলাইমানের গর্ভধারণী হন। সুলতান সুলাইমানের মৃত্যুর পর, সেলিম ইবনে সুলাইমান, ‘দ্বিতীয় সেলিম’ হিসেবে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান হন।

দ্বিতীয় সেলিম ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান, প্রথম সুলাইমানের ও হুরেম সুলতানার সন্তান, যিনি ১৫৬৬ সাল থেকে ১৫৭৪ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উসমানীয় সাম্রাজ্য শাসন করেন।
তৃতীয় মুরাদ ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান ও দ্বিতীয় সেলিমের পুত্র, যিনি ১৫৭৪ সাল থেকে ১৫৯৫ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উসমানীয় সাম্রাজ্য শাসন করেন। জানা যায় যে, ইংল্যান্ডের রাণী প্রথম এলিজাবেথের সঙ্গে সুলতান তৃতীয় মুরাদ মিত্রতা বজায় রেখেছিলেন।
তৃতীয় মুহাম্মদ শাসন করেন ১৫৯৫ থেকে ১৬০৩ সাল পর্যন্ত। তিনি ছিলেন তৃতীয় মুরাদের পুত্র।
প্রথম আহমেদ ১৬০৩ থেকে ১৬১৭ সাল- তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত শাসন করেন। তিনি উসমানীয় সাম্রাজ্যের এক নিষ্ঠুর প্রথা বন্ধ করেন। যে প্রথায় কেউ সিংহাসনে আরোহণ করলে, সে তার বাকি ভাইবোনদের মেরে ফেলত। তুর্কির একটি বিখ্যাত মসজিদ ব্লু মসজিদ নির্মাণের জন্য ও তিনি বিখ্যাত। তিনি ছিলেন তৃতীয় মুহাম্মদের পুত্র।


প্রথম মুস্তফা ও ছিলেন তৃতীয় মুহাম্মদের পুত্র। তিনি ১৬১৭-১৬১৮ এবং ১৬২২-১৬২৩ শাসন করেন।
মাঝের সময়টি অর্থাৎ ১৬১৮-১৬২২ সাল পর্যন্ত শাসন করেন প্রথম আহমেদের পুত্র, দ্বিতীয় ওসমান। ১৬২২ সালে তাকে হত্যা করা হয়।
চতুর্থ মুরাদ প্রথম আহমেদের অপর পুত্র, তিনি শাসন করেন ১৬২৩ থেকে ১৬৪০।
প্রথম আহমেদের অপর পুত্র ইব্রাহীম শাসন করেন ১৬৪০-১৬৪৮ সাল পর্যন্ত।
ইব্রাহীমের পুত্র, চতুর্থ মুহাম্মদ শাসন করেন ১৬৪৮ থেকে ১৬৮৭ সাল পর্যন্ত।
ইব্রাহীমের পুত্র, দ্বিতীয় সুলাইমান শাসন করেন – ১৬৮৭-১৬৯১
১৬৯১-১৬৯৫ পর্যন্ত শাসন করেন ইব্রাহীমের অপর পুত্র, দ্বিতীয় আহমেদ।
চতুর্থ মুহাম্মদের পুত্র দ্বিতীয় মুস্তফা শাসন করেন ১৬৯৫—১৭০৩
চতুর্থ মুহাম্মদের পিত্র তৃতীয় আহমেদ শাসন করেন ১৭০৩-১৭৩০
দ্বিতীয় মুস্তফার পুত্র প্রথম মুহাম্মদ ১৭৩০-১৭৫৪
দ্বিতীয় মুস্তফার পুত্র – তৃতীয় ওসমান ১৭৫৪-১৭৫৭
তৃতীয় আহমেদের পুত্র তৃতীয় মুস্তফা ১৭৫৭- ১৭৭৩
তৃতীয় আহমেদের পুত্র প্রথম আব্দুল হামিদ ১৭৭৩-১৭৮৯
তৃতীয় মুস্তফার পুত্র তৃতীয় সেলিম ১৭৮৯-১৮০৭
প্রথম আব্দুল হামিদের পুত্র চতুর্থ মুস্তফা ১৮০৭-১৮০৮
প্রথম আব্দুল হামিদের পুত্র দ্বিতীয় মাহমুদ ১৮০৮-১৮৩৯
দ্বিতীয় মাহমুদের পুত্র প্রথম আব্দুল মেজিদ – ১৮৩৯-১৮৬১
দ্বিতীয় মাহমুদের পুত্র আব্দুল আজিজ ১৮৬১-১৮৭৬
প্রথম আব্দুল মেজিদের পুত্র পঞ্চম মুরাদ – 30 May 1876 – 31 August 1876
প্রথম আব্দুল মেজিদের পুত্র দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ ১৮৭৬-১৯০৯
প্রথম আব্দুল মেজিদের পুত্র পঞ্চম মুহাম্মদ ১৯০৯-১৯১৮
প্রথম আব্দুল মেজিদের পুত্র ষষ্ঠ মুহাম্মদ ১৯১৮-১৯২২
আব্দুল আজিজ এর পুত্র দ্বিতীয় আব্দুল মেজিদ ১৯২২-১৯২৪

Add a Comment