ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে গৃহীত পদক্ষেপ

২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপনের দিনটিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সময়সীমা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছ। এবং এই আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে যে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে ‘ডেভেলপড নেশন’ ক্লাবের সদস্য হবে। তার মানে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি জ্ঞানভিত্তিক দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা হবে।

সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে সংযোগঃ SEA-ME-WE-4 ও SEA-ME-WE-5 মাধ্যমে বাংলাদেশে দুটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে যুক্ত।

স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১

ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে আনা: ২০০৫ সালে যে ব্যান্ডউইডথের দাম ছিল ৭৫ হাজার টাকা, সরকার এখন তা এক হাজার টাকার নিচে।

প্রযুক্তি ধারণার প্রসারঃ কম্পিউটারের কার্য পদ্ধতি বুঝাতে ও প্রোগ্রামিংয়ের ধারণা সৃষ্টি করতে সারা বাংলাদেশে হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুলে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লক্ষ এবং ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লক্ষে উন্নীত হয়েছে।

দৈনন্দিন কাজে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিঃ মোবাইল টেলিফোন দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল জানা কিংবা ট্রেনের টিকেট কেনার মতো কাজগুলো নিয়মিতভাবে করা হচ্ছে।

জাতীয় তথ্য বাতায়নঃ ইউনিয়ন ইনফরমেশন সেন্টারের সাথে সাথে ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সেল এবং ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেল দেশের অবকাঠামোতে একটা বড় সংযোজন। গাজীপুরে আন্তর্জাতিক মানের ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার তৈরি হচ্ছে। আগামী ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে এটির নির্মাণকাজ শেষ হবে। দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সেবা পৌঁছে দেবার অভিপ্রায়ে দেশের ৪৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বিশাল ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল। কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত এ পোর্টালের সংখ্যা প্রায় ২৫০০০। দেশের সবক’টি উপজেলাকে আনা হয়েছে ইন্টারনেটের আওতায়।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রযুক্তি সেবাঃ ইউনিয়ন পর্যায়ে ইনফরমেশন সার্ভিস সেন্টার খোলা হয়েছে, প্রত্যন্ত এলাকায় পোস্ট অফিসগুলোকে ই-সেন্টারে রূপান্তরিত করে মোবাইল মানি অর্ডারের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।

সরকারি জরুরি সেবাঃ সরকার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ চালু করেছে।

ট্যাক্স হলিডে ঘোষণাঃ তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত ট্যাক্স হলিডে ঘোষণা করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানিতে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ প্রদান।

প্রশিক্ষণ প্রদানঃ সরকার ভিশন-২০২১ এর অংশ হিসেবে ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তরুণদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং এ খাতের জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিবন্ধীদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

হাইটেক পার্কঃ সারা দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হবে।

অন্যান্যঃ ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দিতে বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ। সেবা প্রদান প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করতে চালু করা হয়েছে ই-পেমেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং। সরকারী ক্রয় প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পাদন করার বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছে। ৩-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্কের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।


👉 Read More...👇

Add a Comment