কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
|এখান থেকে বিগত সালে BCS প্রিলিমিনারিতে একটি প্রশ্ন এসেছিল।
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার (১৮৩৪ – ১৯০৭) হলেন একজন স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও পত্রিকা সম্পাদক। তিনি অধুনা বাংলাদেশের খুলনা জেলার সেনহাটিতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাণিক্যচন্দ্র মজুমদার।
রচনাবলী
তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ “সদ্ভাব শতক” (ঢাকা, ১৮৬১)| এই বইটির অধিকাংশ কবিতা নীতিমূলক, যা সুফী এবং হাফিজের ফার্সি কবিতার অনুসরণে রচিত। ছেলেবেলা তাঁর ছদ্মনাম ছিল রামচন্দ্র দাস, সংক্ষেপে রাম। তাই পরিণত বয়সে তিনি রামের ইতিবৃত্ত (১৮৬৮) নামে একটি আত্মচরিত রচনা করেন। তার রপর একটি কাব্যগ্রন্থের নাম- মহাভোগ।
সম্পাদিত পত্রিকা
১৮৬০ সালে মাসিক মনোরঞ্জিকা ও কবিতাকুসুমাবলী নামক পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৮৬১ সালে ঢাকা প্রকাশ প্রকাশিত হলে তিনি তার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৮৮৬ সালে যশোর থেকে তিনি সংস্কৃত ও বাংলা ভাষায় দ্বৈভাষিকী নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন। কবিতাকুসুমাবলী ছিল পদ্যবহুল মাসিক পত্রিকা। তাঁর সদ্ভাবশতক কাব্যের অধিকাংশ কবিতাই এ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি সংবাদ প্রভাকরে লিখতেন। ‘মনোরঞ্জিকা’ ও ঢাকা প্রকাশ (৪০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) নামক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
তাঁর বিখ্যাত কিছু উক্তি মানুষের মুখে মুখে আজও ফেরে-
- যে জন দিবসে মনের হরষে জালায় মোমের বাতি আশু গৃহে তার দেখিবে না আর নিশিতে প্রদীপ ভাতি। – মিতব্যয়িতা।
- চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে? কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে কভু আশীবিষে দংশেনি যারে – সমব্যাথী।
- কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ, উদ্যাম বিহনে কার পুরে মনোরথ। (৩৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)