খুলনা জেলা

পূর্ব নামঃ জাহানাবাদ

অবস্থানঃ রুপসা নদীর তীরে। ঢাকা, চট্টগ্রামের পর এটিই বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর

উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিত্বঃ

  • কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার (১৮৩৪ – ১৯০৭) – স্বনামধন্য কবি; খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রাম কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের জন্মস্থান। বাংলা সাহিত্যে কবির ‘দুটি কবিতা’ শীর্ষক ক্ষু্দ্র কবিতাটি কালজয়ী স্থান পেয়েছে। ‘যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি’ কিংবা ‘চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বূঝিতে পারে’ কবিতা বাঙালি জীবনে অবশ্যপাঠ্য হিসেবে বিবেচিত।
  • আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (২ আগস্ট ১৮৬১ – ১৬ জুন ১৯৪৪) – প্রখ্যাত বাঙালি রসায়নবিদ, বিজ্ঞানশিক্ষক, দার্শনিক, কবি;
  • মৃণালিনী দেবী (মার্চ ১৮৭৪ – ২৩ নভেম্বর ১৯০২) – (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহধর্মিনী;
  • লেখক আবুল কালাম শামসুদ্দীন
  • নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত
  • কবি আবুল হোসেন

ঐতিহাসিক ঘটনা ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ ,স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয় কিন্তু খুলনা পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল, পরবর্তী ১৭ ডিসেম্বরে পাকিস্তানি সেনারা সার্কিট হাউজ ময়দানে আত্মসমর্পণ করে, খুলনা তার স্বাধীনতা ফিরে পায়।

পীর খানজাহান আলী ৪০০ বছর পূর্বে ইসলাম প্রচারের জন্য এই জেলায় আসেন।

মহাত্মা গান্ধী ১৯২৬ সালে স্বদেশী আন্দোলনে যোগদানের জন্য খালিশপুরে আসেন।

দর্শনীয় স্থানঃ

  • দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র কমপ্লেক্স
  • গল্লামারী স্মৃতিসৌধ ও বদ্ধভূমি
  • বীরশ্রষ্ঠ রুহুল আমিনের মাজার
  • বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – এর পূর্ব পুরুষের নিবাস খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার পিঠাভোগ গ্রামে।
  • বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী আচার্য্যপ্রফুল্লচন্দ্র রায়(পি,সি,রায়) – এর জন্মভূমি। ১৮৬১ সালের ২ আগস্ট খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী রাড়ুলীতে স্যার পি.সি. রায় জন্মগ্রহণকরেছিলেন।
  • বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – এর স্মৃতিধণ্য খুলনার জেলা প্রশাসকের বাংলো। ১৮৬০-১৮৬৪ সাল, খুলনার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর থাকাকালীন সময়ে এই বাংলোই ছিল তাঁর বাসস্থান। ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত এই বাংলোর বকুলতলায় বসেই রচনা করেছিলেন তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রেমের উপন্যাস ‘কপালকুন্ডলা’।

উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানঃ <

  • দেশের বৃহৎ কাগজ কল- খুলনা নিউজ প্রিন্ট মিল। এর প্রধান কাঁচামাল গেওয়া কাঠ।
  • হার্ডবোর্ড মিল খালিশপুরে।
  • দেশের সপ্তম টেস্ট ভ্যেনুঃ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম।

নদ-নদীঃ খুলনা জেলায় রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নদী। এখানকার নদীগুলো হচ্ছে রূপসা নদী, ভৈরব নদ, শিবসা নদী, পশুর নদী, কপোতাক্ষ নদ, নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী, পশুর নদী, আঠারোবাঁকি নদী, ভদ্রা নদী, বুড়িভদ্রা নদী, শৈলমারী নদী, কাজিবাছা নদী, ডাকাতিয়া নদী, শাকবাড়িয়া নদী, কাঁকরী নদী, ঝপঝপিয়া নদী, তেলিগঙ্গা-ঘেংরাইল নদী, অর্পণগাছিয়া নদী, কুঙ্গা নদী, মারজাত নদী, মানকি নদী, বল নদী, নলুয়া নদী, ঘনরাজ নদী।

অন্যান্য তথ্যঃ

  • চিংড়ি চাষের জন্য খুলনা কে দেশের কুয়েত সিটি বলে।

<- মেহেরপুর
নড়াইল ->