SDG

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) হলো ভবিষ্যত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত একগুচ্ছ লক্ষ্যমাত্রা। জাতিসংঘ লক্ষ্যগুলো প্রণয়ন করেছে এবং “টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা” হিসেবে লক্ষ্যগুলোকে প্রচার করেছে। এসব লক্ষ্য সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা -কে প্রতিস্থাপন করেছে, যা ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। SDGs-এর মেয়াদ ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল। এতে মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা (৪০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) ও ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ১৭টি

দারিদ্র্য বিমোচন; ক্ষুধা মুক্তি; সু স্বাস্থ্য; মানসম্মত শিক্ষা; লিঙ্গ সমতা; সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা; নবায়নযোগ্য ও ব্যয়সাধ্য জ্বালানী; কর্মসংস্হান ও অর্থনীতি; উদ্ভাবন ও উন্নত অবকাঠামো; বৈষম্য হ্রাস; টেকসই নগর ও সম্প্রদায়; সম্পদের দায়ীত্বপূর্ণ ব্যবহার; জলবায়ু বিষয়ে পদক্ষেপ; টেকসই মহাসাগর; ভূমির টেকসই ব্যবহার; শান্তি, ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান; টেকসই উন্নয়নের জন্য অংশীদারিত্ব।

SDG বাস্তবায়নে যে পরিমান অর্থের প্রয়োজন
পরিকল্পনা কমিশনের হিসাবে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশকে আগামী ১৩ বছরে ৫ লাখ কোটি ডলার খরচ করতে হবে। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। প্রতিবছর গড়ে ৩৩ লাখ কোটি টাকার বেশি খরচ করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ হিসাবের পর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এক আলোচনায় জানায় প্রতি বছরে আরও বাড়তি লাগবে ৫লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিবছরে মোট ব্যয় হবে ৩৮লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকা।

যে সমস্থ খাত থেকে অর্থ আসবে
৪২% বেসরকারি খাত
৩৫% সরকারি খাত
১৫% এফডিআই(Foreign direct investment) ও বৈদেশিক খাত
৬% পিপিপি থাকে
২% এনজিও খাত থেকে

এসডিজি অর্জনে কয়েকটি বড় সমস্যা

  • বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে সক্ষমতা বাড়ানো
  • প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় কমিয়ে আনা

বাংলাদেশের উন্নয়নে দাতা সংস্থা ও দেশগুলো সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে পরিকল্পনা ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার অগ্রগতিসমূহ গ্রহণ করেছে দাতারা। সরকার ও দাতা—উভয় পক্ষ মনে করে, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সাতটি বিষয় সামনে এসেছে। সেগুলো হলো

  1. শোভন কাজ সৃষ্টি করা এবং প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগের বাধা দূর করা;
  2. সুশাসন, আইনের শাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ব্যবস্থা শক্তিশালী করা;
  3. হতদরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা শক্তিশালী করা;
  4. দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি;
  5. নারীর ক্ষমতায়ন;
  6. জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং
  7. স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হওয়ার পর দাতাদের সহযোগিতার পরিকল্পনা তৈরি।

আরও কিছু সুপারিশ হতে পারে-
বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা।
রাজস্বের জন্য এনবিআরকে অটোমেশনসহ বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম নিতে হবে।
সুশাসন নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা দূর করতে হবে।
গ্রহণযোগ্য ও শক্তিশালী পরিসংখ্যান ভান্ডার তৈরি করতে হবে।
এসডিজি নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি
জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমকে আরও সম্পৃক্ত করা উচিত।

পেপার ক্লিপিং

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও বাংলাদেশ আমাদের করণীয়***
এসডিজি অর্জনে গুরুত্ব দিতে হবে সুশাসনকে**
এসডিজি অর্জনে লাগবে ১৮০০ পদ্মা সেতুর টাকা**

এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রতিবেদন পেশ***

Add a Comment