পূর্ব নামঃ | কুষ্টিয়া আগে দ্বীপাঞ্চল ছিলো। এখানে বহু গাছগাছালি ছিলো বিশেষ করে বাবলা গাছ। সেই সমস্ত গাছে বহু কাক বাস করত। তাই অনেক আগে কুষ্টিয়ার নাম ছিলো ‘ কাকদ্বীপ ‘। দেশ বিভাগের পরে নাম হয় নদীয়া |
অবস্থানঃ | গড়াই নদীর তীরে |
উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিত্বঃ | - লালন শাহ্ – প্রখ্যাত বাউল ও মরমী গানের স্রষ্ঠা;
- কাঙাল হরিনাথ – সাময়িক পত্রসেবী, সমাজ বিপ্লবী ও বাউল কবি;
- গগন হরকরা – প্রথ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ। “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি…” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গগন হরকরার “হারায়ে সেই মানুষে তার উদ্দেশ্যে বেড়াই ঘুরে…” গানটি থেকে নিয়েছেন।
- মীর মশাররফ হোসেন – প্রখ্যাত সাহিত্যিক;
- ড. কাজী মোতাহার হোসেন – সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সঙ্গীতজ্ঞ ও দাবাড়ু
- মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা – বাঙ্গালী মুসলিম মহিলাদের মধ্যে প্রথম সনেট ও গদ্য ছন্দে কবিতা লিখেছেন
- আজিজুর রহমান – কবি, গীতিকার ও কুষ্টিয়ার ইতিহাস সন্ধানী
- ‘‘এই পদ্মা এই মেঘনা’’ গানের রচয়িতা আবু জাফর
- স্বদেশী আন্দোলনের নেতা বাঘা যতিন,
|
দর্শনীয় স্থানঃ | - রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ী – কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ী রয়েছে;
- ছেউড়িয়াস্থ ফকির লালন সাঁইজির মাজার – বাউল ফকির লালন সাঁইজির মাজার কুমারখালি উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া গ্রামে;
- মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা – বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেনের বাস্ত্তভিটা কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় অবস্থিত।
- পাকশী রেল সেতু – কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবস্থিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল সেতু;
- লালন শাহ সেতু – কুস্টিয়া জেলার পদ্মা নদীর উপর নির্মিত “লালন শাহ” সেতুটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতু।
| উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানঃ | দেশের বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র- ভেরামারা, কুষ্টিয়া। |
নদ-নদীঃ | পদ্মা, গড়াই নদী, মাথাভাঙ্গা, কালীগঙ্গা ও কুমার নদী। |
অন্যান্য তথ্যঃ | - চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া এই তিন জেলার আধিবাসীদের বৃহত্তর সমাজকে বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা বলা হয়।
- মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখযোগ্য একটি স্মারক ভাস্কর্য হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনের ‘মুক্তবাংলা’।
|