বান্দরবান জেলা
|নামঃ ব্রিটিশরা এই এলাকার নাম দেয় চিটাগাং হিল ট্র্যাক্ট্স বা পার্বত্য চট্টগ্রাম। আশির দশকের শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তিনটি জেলা- রাঙামাটি, বান্দরবান, ও খাগড়াছড়ি-তে বিভক্ত করা হয়।
অবস্থানঃ শংখ(সাঙ্গু) নদীর তীরে। এটি দেশের সর্ব পুর্বের জেলা। সর্ব পুর্বের পূর্বের উপজেলা থানচি। এবং সর্ব পুর্বের স্থান আখাইনঠং।
দর্শনীয় স্থানঃ বগালেক(জলাশয়); বুদ্ধ ধাতু জাদি: বান্দরবন শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে বালাঘাটায় অবস্থিত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ মন্দির। স্থানীয়ভাবে স্বর্ণমন্দির নামে পরিচিত। এটি স্বর্ণমন্দির নামে পরিচিত পেলেও এটি স্বর্ণ নির্মিত নয়। মূলত সোনালী রঙের জন্যেই এটির নাম হয়েছে স্বর্ণমন্দির। এখানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তিটি আছে। চিম্বুক পাহাড়, প্রান্তিক লেক, (৩৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) কেওক্রাডং, তাজিংডং, মিরিঞ্জা, ঋজুক জলপ্রপাত, নীলগিরি, নীলাচল, স্বর্ণ মন্দির, কাওজাদি পাহাড়,নতুন ব্রিজ রিভার ভিউ, তিন্দু পাথর ছড়া, রাইংখং পুকুর, নাফাকুম, সাফাকুম, আমিয়াকুম, সাতভাইকুম, ডাবল ফলস, আলী, কদম গুহা ও শৈল প্রপাত।
পাহার অধিক পাহাড়ের জন্য এ জেলাকে বলা হয় পাহাড়ী কন্যা। এখানকার উল্লেখযোগ্য পাহাড় গুলো হল- চিম্বুক পাহাড় (মারমাদের আবাস) , নীলগিরি, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং (১২৩১ মিটার) বান্দরবান জেলায় অবস্থিত, যা “বিজয়” বা “মদক মুয়াল” নামেও পরিচিত। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ “কেওক্রাডং” (১২৩০ মিটার) এবং সর্বোচ্চ খাল “রাইখিয়াং” এই জেলায় অবস্থিত।
উপজাতি বান্দরবানের মারমাদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম সাংগ্রাই। এছাড়া বড় উৎসবের মধ্যে রয়েছে ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে বা প্রবারণা পূর্ণিমা।
উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানঃ দ্বিতীয় Tribial Cultural Institute(1988), প্রথমটি রাঙ্গামাটির Tribal Cultural Institute যা ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
নদ-নদীঃ এই জেলার অন্যতম নদী সাঙ্গু নদী যা সাংপো বা শঙ্খ নামেও পরিচিত। এই নদীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি বাংলাদেশের একমাত্র নদী যা দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হয়। অন্যান্য নদীর মধ্যে রয়েছে মাতামুহুরী এবং বাঁকখালী নদী।
অন্যান্য তথ্যঃ জনসংখ্যায় ছোট জেলা। জাতীয় সংসদের ৩০০ তম আসন। ভারতের সাথে সংযোগ বিহীন একমাত্র সীমান্তবর্তী জেলা। বাংলাদেশের সবচেয়ে কম জনবসতিসম্পন্ন স্থান।