প্রকৃতি
|বিগত সালে এখান থেকে BCS Preliminary তে প্রশ্ন এসেছে ২টি
শব্দমূল বা শব্দের যে অংশকে আর ভাঙা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে। প্রত্যয় যুক্ত প্রতিটি মৌলিক শব্দ তথা প্রত্যয় যুক্ত প্রতিটি প্রাতিপদিক ও ধাতুই একেকটি প্রকৃতি। কিন্তু মৌলিক শব্দকে প্রকৃতি বলা যায় না। যখনই সেই শব্দের সঙ্গে বা অতিরিক্ত শব্দাংশ বা প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তখনই কেবল নতুন সৃষ্ট শব্দটির মূল শব্দটিকে প্রকৃতি বলা যায়। অর্থাৎ, প্রত্যয় সাধিত শব্দের মূলশব্দকে বলা হয় প্রকৃতি। কিন্তু মূল অংশটি যখন এককভাবে ব্যবহার হবে তখন তাকে আর প্রকৃতি বলা যাবে না।
যেমন- লাজুক, ঘরামি, জিতা শব্দগুলোর মূলশব্দ যথাক্রমে লাজ্, ঘর্, জিত্। এখানে, লাজুক, ঘরামি, জিতা শব্দগুলো প্রত্যয়সাধিত (মূলশব্দের সঙ্গে অতিরিক্ত শব্দাংশ বা প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে তাই প্রত্যয়সাধিত।) প্রত্যয়সাধিত শব্দগুলো থেকে যখন মূল শব্দ (লাজ্, ঘর্, জিত্) আলাদা করা হবে তখন তাদেরকে প্রকৃতি বলা যাবে। কিন্তু আলাদাভাবে উল্লেখ করলে এগুলো আর প্রকৃতি নয়, এগুলো তখন স্রেফ কতোগুলো মৌলিক শব্দ।
প্রকৃতি দুই প্রকার
- নাম প্রকৃতি
- ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু ।
নাম প্রকৃতিঃ বিভক্তিহীন নামশব্দকে নাম প্রকৃতি বা প্রাতিপদিক বলে। (৩৯, ১৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) হাতল, ফুলেল , মুখর – এ শব্দগুলো বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই –
হাত+ল=হাতল (বাঁট),
ফুল+এল=ফুলেল (ফুলজাত)ও
মুখ+র=মুখর (বাচাল)। হাত, ফুল ও মুখ ইত্যাদি শব্দকে বলা হয় নাম প্রকৃতি। কেননা এই মূল অংশগুলো কোন কিছুর নামকে বুঝায়।
ক্রিয়া প্রকৃতি: আবার চলন্ত ও লিখিত-শব্দদুটি বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই –
চল্+অন্ত=চলন্ত (চলমান),
লিখ্+ইত= লিখিত (যা লেখা হয়েছে) । এখানে চল্ ও লিখ্ দুটি ক্রিয়ামূল । এদেরকে ক্রিয়া প্রকৃতি/ক্রিয়ামূল বা ধাতু ও বলা হয় (১২তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) কেননা এইমূল অংশগুলো দ্বারা কোন না কোন কাজ বুঝায়।