আ (টাপ্) প্রত্যয়
|যে সকল শব্দ প্রত্যয়যোগে তৈরি হয় না এবং দীর্ঘ স্বরধ্বনিও যুক্ত থাকে না, শেষে ব্যঞ্জন বর্ণ থাকায় আমরা সেগুলোকে ব্যঞ্জনান্ত ধাতু বলতে পারি। যেমন- √কথ্, √প্রথ্, √কৃপ্, √জৃ , √ধা, চিন্ত্, এগুলোর সাথে অ(অঙ্) যুক্ত হলে হসন্ত উঠেগিয়ে ভাব বাচক সংজ্ঞা তৈরি হয়। এর পর তার সাথে একটি স্ত্রীবাচক প্রত্যয় আ(টাপ) যুক্ত হয়ে স্ত্রীলিঙ্গবাচক শব্দ সৃষ্টি হয়। মনে রাখতে হবে সংস্কৃতে এগুলোর স্ত্রীবাচক অর্থ থাকলেও বাংলায় তা স্ত্রীবাচক অর্থে ব্যবহার হয় না। অনেকে টাপ্ প্রত্যয়কে আপ্ হিসাবে ও উল্লেখ করেছেন। তবে উল্লেখ যাই থাক ট্ ও প্ লোপ হয়ে শুধু আ থাকে যেমন ―
√কথ্ (বলা)+ অ (অঙ) +আ (টাপ্) =কথা
√প্রথ্ (খ্যতি)+অ (অঙ) +আ (টাপ্)=প্রথা
আ-√ভা (দীপ্তি) +অ (অঙ) +আ (টাপ্)=আভা
শ্রৎ-√ধা +অ (অঙ) +আ (টাপ্)=শ্রদ্ধা (৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
এই প্রত্যয়জাত শব্দাবলি : আভা, কৃপা, চিন্তা, জরা, প্রথা, শ্রদ্ধা, ভিদা(ভেদ করা)