টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও বাংলাদেশ আমাদের করণীয়***
|প্রথম আলো আলোচনা, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এমডিজি থেকে এসডিজির পরিসর অনেক বড়। বাংলাদেশ এমডিজি অর্জনে সাফল্য দেখিয়েছে। সবাই পরিকল্পিতভাবে কাজ করলে এসডিজি অর্জনও সম্ভব হবে। তবে এত বিশাল কাজ সম্পন্ন করতে হলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
- এসডিজিতে ১৭টি লক্ষ্য, ১৬৯টি টার্গেট রয়েছে।
- এসডিজি প্রণয়নে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের প্রায় ৯০ লাখ মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে।
- জনগণ এখন আর কেবল উপকারভোগী নয়, তারা দেশের অংশীদার। যেকোনো কাজ তাদের সম্পৃক্ত করে করতে হবে।
- সিএসআরের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এসডিজি অর্জনে সিএসআর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
- এসডিজিতে বাইরের অর্থায়ন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। নিজস্ব অর্থায়নের বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।
আলোচনায় সুপারিশ
- তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিবছর তাঁদের একটি অংশ বেকার থেকে যাচ্ছে
- তথ্য–উপাত্ত সঠিক না হলে কোনো সিদ্ধান্ত ফলপ্রসূ হবে না। তথ্য–উপাত্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অারও দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন
- তরুণ–তরুণীদের কারিগরি শিক্ষায় অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে
এখনো ৬০ শতাংশ নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছরের নিচে - তরুণ-তরুণীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ ও অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন
- এসডিজি ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাকে সমন্বয় করে আমাদের এগোতে হবে