জিনি সহগ

অর্থনৈতিক অসাম্য পরিমাপ করা হয় জিনি সহগ বা gini coefficient এর ভিত্তিতে। ইতালিয়ান পরিসংখ্যানবিদ কোরাদো জিনির সম্মানে নামকরণ করা হয়েছে। এই সূচকের বিশেষত্ব হলো যে এ সূচক সর্বনিম্ন শূন্য হতে পারে এবং সর্বাধিক এক হতে পারে। জিনিসূচক তখনই শূন্য হবে যখন সমাজে সব মানুষ আয়ের দিক থেকে সমান হবভে এবং মানুষে মানুষে আয়ের দিক থেকে কোন বৈষম্য থাকবে না। জিনি সূচক যখন এক হবে তখন সমাজে চরম বৈষম্য বিরাজ করে। এ সমাজে সব আয় বা সম্পদ একজন ব্যক্তি দখল করে এবং সমাজে অন্য সবার আয় হয় শূন্য। জিনিসূচক তাই সবসময় একটি ভগ্নাংশ সংখ্যা হয়। এই ভগ্নাংশ যখন কমবে, তখন ধরে নেওয়া হবে এ অসাম্য কমেছে। পৃথিবীর কোন দেশেই জিনি সূচক এক বা শূন্য হয় না। তাই পরিপূর্ণ সাম্য বা অসাম্য কোথাও নেই। মোটা দাগের একটি হিসাব এভাবে করা হয়-
০.৩-০.৪ অসাম্য দেশ।
০.৪-০.৫ অপেক্ষাকৃত বেশি অসাম্যের দেশ।
০.৫-০.৬ অতি উচ্চ বৈষ্যমের দেশ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। পৃথিবীতে মাত্র ছয়টি দেশের জিনি সহগের মান ০.৬ এর বেশি।
বাংলাদেশের জিনি সহগের মান ০.৩৯৫ এর অর্থ এটি একটি অসাম্যের দেশ, বা মধ্যম মাত্রার বৈষম্য বিরাজমান।

Add a Comment