ক্রান্তীয় পতনশীল পত্রযুক্ত বনভূমি
|ঢাকা জেলার সাভার, গাজীপুরের ভাওয়াল গড়, টাংগাইল ও ময়মনসিংহের মধুপুর গড় নিয়ে সমতল ভূমির বন বা ক্রান্তীয় পতনশীল পত্রযুক্ত বনভূমি গড়ে উঠেছে। আগে এ বন রংপুর, দিনাজপুর ও কুমিল্লা জেলায়ও বিস্তৃত ছিল। এ বনের প্রধান বৃক্ষ হলো শাল। (40তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) যারজন্য এ বনের অপর নাম শালবন। শাল গাছ কাটার পর গোড়া থেকে অসংখ্য কুশি বাহির হয় বলে স্থানীয় ভাষায় একে গজারি
বনও বলা হয়।
সমতল ভূমির বনের বৈশিষ্ট্য
১। এ বনের প্রধান বৃক্ষই হলো শাল। বনের ৯০ ভাগ এলাকায় শাল গাছ বিদ্যমান। এইজন্য ইহা শালবন নামে সমধিক পরিচিত।
২। শাল বৃক্ষ ২০-২৫ মিটার পর্যন্ত উচু হয়। শীতকালে শাল বৃক্ষের সমস্ত পাতা ঝরে যায়। এজন্য ইহাকে পাতাঝরা বন বা Deciduous forest বলে।
৩। এ বনের কোথায়ও উচু ও কোথায়ও নিচু। উচু জায়গাকে বলে চালা যেখানে শালসহ অন্যান্য বৃক্ষ জন্মায়। নিচু জায়গাকে বলে বাইদ যেখানে প্রধাণত কৃষি কাজ অর্থাৎ ধান চাষ করা হয়ে থাকে।
৪। এ বনে বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০০০ মি.মি. এর কম।
এ বনের প্রধান বৃক্ষ হলো শাল বা গজারী। অন্যান্য বৃক্ষের মধ্যে হলদু, পলাশ, কুম্ভি, হাড়গোজা, হরিতকী, বয়রা উল্লেখযোগ্য।