জেলা পরিষদ

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলার জনগণ দ্বারা সরাসরি নির্বাচনের বিধান রাখা হয়। জেলা পরিষদের সভাপতি একজন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পান এবং জেলা প্রশাসককে তার অধীনে প্রধান নির্বাহী করা হয়। সংসদ সদস্য এই পরিষদে পরামর্শকের ভূমিকা পালন করেন। তবে বর্তমানে সরকার জেলা পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বদলে একজন করে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছেন। প্রশাসকের পদ মর্যাদা এখনও সরকারি প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত হয়নি।

গঠন
২০০০ সালের জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদ গঠিত হবে একজন চেয়ারম্যান, পনেরজন সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনে ৫ জন মহিলা সদস্যদেরকে নিয়ে। এরা সবাই পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হবেন একটি নির্দিষ্ট জেলার অধীন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কমিশনারবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের ভোটে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।

কার্যাবলি
২০০০ সালে জাতীয় সংসদে জেলা পরিষদ আইন পাশ হয়। এই আইনের অধীনে জেলা পরিষদকে ১২টি বাধ্যতামূলক এবং ৬৮টি ঐচ্ছিক কার্যাবলির দায়িত্ব দেওয়া হয়। জেলা পরিষদের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন। শিল্প এবং বাণিজ্যের উন্নয়ন, সরকারি হাসপাতাল তত্ত্বাবধান, পারিবারিক ক্লিনিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই সাথে আন্তঃজেলা সড়ক প্রকল্প প্রস্তুতকরণ এবং চলমান পুলিশি কর্মকাণ্ডের তত্ত্বাবধান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সহায়তা, সন্ত্রাস দমনে সুপারিশ এবং উপজেলা কর্মকাণ্ডের তদারক। জেলা পরিষদ ৫ বছর মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করবে এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠাবে।

আয়ের উৎস
জেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ অনুযায়ী জেলা পরিষদকে ৮টি খাতের আয়ের উৎস কি সেগুলো দেওয়া হয়। এই উৎসগুলো ছাড়াও জেলা পরিষদের জন্য জমি হস্তান্তর করের ১ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ ভূমি কর রাখার ব্যবস্থা করা। এছাড়া হাট-বাজার, ফেরি ঘাট এবং জলমহাল থেকে বর্ধিত পরিমাণ লিজের অর্থ জেলা পরিষদ পাবে। তবে গঠনতন্ত্রে যেভাবে বলা আছে, জেলা পরিষদ সম্পূর্ণ সেভাবে এখনো কার্যকর নয়।


👉 Read More...👇