উপজেলা পরিষদ

  • বাংলাদেশে উপজেলা পরিষদ চালু হয়- ১৯৮২/১৯৮৩? = উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তিত হয় — ১৯৮২ সালে।
  • উপজেলা নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তিত হয় — ১৯৮৩ সালে।
  • প্রথম উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় — ১৯৮৫ সালে।
  • উপজেলা পদ্ধতি বাতিল হয় — ১৯৯১ সালে।
  • উপজেলা পদ্ধতি পুনরায় চালু হয় — ২০০৯ সালে।

গঠন
জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যান, দুজন ভাইস চেয়ারম্যান (এদের মধ্যে একজন হবেন মহিলা) এবং উপজেলার আওতাধীন ইউনিয়ন পরিষদসমূহের চেয়ারম্যানবৃন্দ, পৌরসভার (যদি থাকে) চেয়ারম্যান এবং তিনজন মহিলা সদস্যের সমন্বয়ে উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়। ২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্যদেরকে পরিষদের পরামর্শকের ভূমিকা প্রদান করা হয়েছে। চেয়ারম্যান উপজেলার ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন। ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা (যদি থাকে) চেয়ারম্যানবৃন্দ পদাধিকার বলে এর সদস্য হবেন। ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার (যদি থাকে) নির্বাচিত মহিলা সদস্যদের ভোটে তাদের মধ্য থেকে তিনজন মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবেন।
উপজেলা পরিষদের জন্য ৩ সদস্যের একটি চেয়ারম্যান প্যানেল থাকবে, যার অন্তত একজন মহিলা হবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা বা সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদের কার্যকাল হবে ৫ বছর। বতর্মানে বাংলাদেশে ৪৮৫টি উপজেলা রয়েছে।

কার্যাবলি
উপজেলা পরিষদের কাজগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।
১. ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন করে।

২. যোগাযোগ ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আন্তঃইউনিয়ন সংযোগকারী রাস্তা নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করে।

৩. মহিলা ও শিশু উন্নয়ন, সমাজকল্যাণ, যুব, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে সহায়তা দান করে।

৪. কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে পশু পালন, মৎস্য চাষ, বনজ সম্পদ উন্নয়ন ও সেচ প্রকল্প গ্রহণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করে।

৫. নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জনমত গঠন করে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

৬. প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করে।

৭. ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প স্থাপন ও বিকাশের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করে।

৮. শিক্ষা প্রসারের জন্য জনমত তৈরি এবং মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম তদারক করে।

৯. নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিত করে।

১০. উপজেলা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ পুলিশ বিভাগের কার্যক্রম আলোচনা করে।

১১. আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ করে।

১২. সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করে।

আয়ের উৎস
উপজেলা পরিষদ কর্তৃক ধার্যকৃত কর, রেইট, টোল, ফি এবং সরকার ও অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত অর্থ বা অনুদান ইত্যাদি নিয়ে উপজেলা পরিষদের তহবিল গঠিত হবে।


👉 Read More...👇