বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো
|বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর বর্ণনা দিন। (২৮তম বিসিএস লিখিত)
রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্ব প্রশাসনের। রাষ্ট্রের ভিতরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও রাষ্ট্রের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সুষ্ঠু প্রশাসনের কোনো বিকল্প নেই। প্রশাসনকে তাই বলা হয় রাষ্ট্রের হৃদপিণ্ড। প্রশাসন একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। নিচে বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো ছকের সাহায্যে তুলে ধরা হলো।
প্রশাসনিক কাঠামো
- কেন্দ্রীয় প্রশাসন(সচিবালয়) → সংশ্লিষ্ট দপ্তর/অধিদপ্তর
- মাঠ প্রশাসন
↓
প্রশাসনিক কাঠামো
বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো স্তরভিত্তিক। এর দুটি প্রধান স্তর আছে। প্রথম
স্তরটি হলো কেন্দ্রীয় প্রশাসন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের দ্বিতীয় স্তরটি হলো মাঠ প্রশাসন। মাঠ প্রশাসনের প্রথম ধাপ হলো বিভাগীয় প্রশাসন। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলার পর আছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত।দেশের সব ধরনের প্রশাসনিক নীতি ও সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়। আর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গৃহীত নীতি ও সিদ্ধান্ত মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে সারা দেশে বাস্তবায়িত হয়। মাঠ প্রশাসন মূলত কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত
হয়ে থাকে।
এছাড়া প্রতি মস্ত্রণালয়ের সাথে সংযুক্ত আছে বিভিন্ন বিভাগ বা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের/দপ্তরের প্রধান হলেন মহাপরিচালক/পরিচালক। মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরও আছে বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, বোর্ড ও
কর্পোরেশন। এসব দপ্তর ও অফিসের কোনো কোনোটির কার্যকলাপ আবার বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত। দপ্তর/অধিদপ্তরগুলো সচিবালয়ের লাইন সংস্থা হিসেবে বিভিন্ন সরকারি কাজ বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করে।
বিভিন্ন স্তরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা
বর্তমানে বিভাগ রয়েছে ৮টি, সর্বশেষ ময়মনসিংহ।
বৃহত্তর জেলা ১৯ টি।
জেলা ৬৪টি।
সিটি কর্পোরেশন ১২টি, সর্বশেষ ময়মনসিংহ।
পৌরসভা ৩২৭টি, সর্বশেষ দোহাজারী, চট্টগ্রাম।
উপজেলা ৪৯৩টি সর্বশেষ ডাসার, মাদারীপুর।
থানা ৬৪০টি, সর্বশেষ মাধবদী, নরসিংদী।
ইউনিয়ন ৪৫৬২টি।
গ্রাম ৮৭,৩৭২টি প্রায়।