প্রমথ চৌধুরী
|প্রমথ চৌধুরী ৭ই আগস্ট ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল পাবনা জেলায় হরিপুর গ্রামে। তাঁর শিক্ষাজীবন ছিল অসাধারণ কৃতিত্বপূর্ণ। তিনি ১৮৯০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন এবং পরে ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য বিলাত যান। বিলাত থেকে ফিরে এসে ব্যারিস্টারি পেশায় যোগদান না করে তিনি কিছুকাল ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন এবং পরে সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’। তাঁর সম্পাদিত ‘সবুজ পত্র’ বাংলা সাহিত্যে চলতি ভাষারীতি প্রবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বস্তুত তাঁরই নেতৃত্বে বাংলা সাহিত্যে নতুন গদ্যধারা সূচিত হয়। তিনি জীবনে জ্যাঠামি ও সাহিত্যে ন্যাকামি’ সহ্য করতে পারতেন না। (২৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
প্রমথ চৌধুরী ১৮৯৯ সালে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা ইন্দিরা দেবীকে বিবাহ করেন।(ইন্দিরা দেবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেয়ে। বিলেতে থাকাকালীন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্দ্রাদেবীকে অনেকগুলো পত্রলেখেন। যে গুলো পরবর্তীতে তাঁর ‘ছিন্নপত্র‘ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।)
উক্তিঃ সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত (১৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) , ব্যাধিই সংক্রামক স্বাস্থ্য নয়, ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে, ।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: বীরবলের হালখাতা (প্রবন্ধ) (২৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) , রায়তের কথা, চার-ইয়ারি কথা, আহুতি, প্রবন্ধ সংগ্রহ, নীললোহিত, সনেট পঞ্চাশৎ, পদাচারণ,তেল-নুন-লাকড়ি, The Story of Bengali Literature (১৯১৭), আত্মকথা (১৯৪৬), নানাচর্চা (১৯২৩), প্রাচীন বঙ্গ সাহিত্যে হিন্দু ও মুসলমান ।
প্রমথ চৌধুরী ২রা সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সালে কলকাতায় পরলোকগমন করেন।
বীরবলী গদ্য
প্রমথ চৌধুরী বীরবল ছদ্ম নামে লিখতেন। (১৪, ১৭, ৩২তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) বীরবলী গদ্য বলতে মূলত চলিত রীতির গদ্যকে বুঝানো হয়। এ রীতিতে তিনি সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহারের সাথে সাথে তদ্ভব শব্দের ব্যবহার করেন। সহজ সরল প্রকাশ ভঙ্গি, ও হাস্যরসের মিশ্রণ ঘটান। সবুজ পত্র পত্রিকার মাধ্যমে তিনি এ রীতি প্রচলন করেন।
বিসিএস লিখিত
- ‘বীরবলী গদ্য’ এর সৃষ্টা কে? এ গদ্যের বৈশিষ্ট সংক্ষেপে আলোচনা করুন। (২৯তম বিসিএস লিখিত)
- প্রমথ চৌধুরীর ছদ্ম নাম কী? (২৫তম বিসিএস লিখিত)