বাচ্য পরিবর্তন
|কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্য
নিয়ম : কর্তৃবাচ্যের বাক্যকে কর্মবাচ্যে পরিবর্তিত করতে হলে(১) কর্তায় তৃতীয়া (২) কর্মে প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি এবং (৩) ক্রিয়া কর্মের অনুসারী হয়। জ্ঞাতব্য : কর্তৃবাচ্যের ক্রিয়া অকর্মক হলে সেই বাক্যের কর্মবাচ্য হয় না।
কর্তৃবাচ্যঃ বিদ্বানকে সকলেই আদর করে। কর্মবাচ্যঃ বিদ্বান সকলের দ্বারা আদৃত হন।
কর্তৃবাচ্যঃ খোদাতায়ালা বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছেন। কর্মবাচ্যঃ বিশ্বজগৎ খোদাতায়ালা কর্তৃক সৃষ্ট হয়েছে।
কর্তৃবাচ্যঃ মুবারক পুস্তক পাঠ করছে। কর্মবাচ্যঃ মুবারক কর্তৃক পুস্তক পঠিত হচ্ছে।
লক্ষণীয় : কর্তৃবাচ্যে ব্যবহৃত তৎসম মিশ্রক্রিয়াটি(পাঠ করছে) কর্মবাচ্যে যৌগিক ক্রিয়াজাত ক্রিয়াবিশেষণ(পঠিত) রূপে ব্যবহৃত হয়।
কর্তৃবাচ্য থেকে ভাববাচ্য
নিয়ম : কর্তৃবাচ্যের বাক্যকে ভাববাচ্যে পরিবর্তিত করতে হলে(১) কর্তায় ষষ্ঠী বা দ্বিতীয়া বিভক্তি হয় এবং (২) ক্রিয়া নাম পুরুষের হয়। যেমন
কর্তৃবাচ্যঃ আমি যাব না। ভাববাচ্যঃ আমার যাওয়া হবে না।
কর্তৃবাচ্যঃ তুমিই ঢাকা যাবে। ভাববাচ্যঃ তোমাকেই ঢাকা যেতে হবে।
কর্তৃবাচ্যঃ তোমরা কখন এলে? ভাববাচ্যঃ তোমাদের কখন আসা হলো?
কর্মবাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্য
নিয়ম: কর্মবাচ্যের বাক্যকে কর্তৃবাচ্যে পরিবর্তিত করতে হলে| (১) কর্তায় প্রথমা, কর্মে দ্বিতীয়া বা শূন্য বিভক্তি প্রযুক্ত হয় এবং (২) ক্রিয়া কর্তা অনুযায়ী হয়। যেমন
কর্মবাচ্যঃ দস্যুদল কর্তৃক গৃহটি লুণ্ঠিত হয়েছে। কর্তৃবাচ্যঃ দস্যুদল গৃহটি লুণ্ঠন করেছে।
কর্মবাচ্যঃ হালাকু খাঁ কর্তৃক বাগদাদ বিধ্বস্ত হয়। কর্তৃবাচ্যঃ হালাকু খাঁ বাগদাদ ধ্বংস করেন।
ভাববাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্য
নিয়ম : ভাববাচ্যের বাক্যকে কর্তৃবাচ্যে রূপান্তরিত করতে হলে(১) কর্তায় প্রথমা বিভক্তি প্রযুক্ত হয় এবং (২) ক্রিয়া কর্তার অনুসারী হয়। যেমন
ভাববাচ্যঃ তোমাকে হাঁটতে হবে। কর্তৃবাচ্যঃ তুমি হাঁটবে।
ভাববাচ্যঃ এবার একটি গান করা হোক। কর্তৃবাচ্যঃ এবার (তুমি) একটি গান কর।
ভাববাচ্যঃ তার যেন আসা হয়। কর্তৃবাচ্যঃ সে যেন আসে।