গুণ বৃদ্ধি

সংস্কৃতে অ, ই, উ, ঋ কে মূল স্বর বলা হয়। মূল থেকে গঠিত হয় দীর্ঘ স্বর। যেমন-
অ+অ = আ
ই+ই= ঈ
উ+উ= ঊ
ঋ + ঋ = ঋ- ঋফলা(বাংলায় ব্যবহার নেই।)

গুণ
অ এর পরে মূল স্বর বা দীর্ঘ স্বর যুক্ত হয়ে উক্ত স্বরের গুণ হয় যেমন-
অ+অ = অ
অ+ই= এ (ই-কারের গুণ)
অ+উ= ও
অ+ঋ = অর্‌
অ+আ= আ (আ কারের গুণ)
অ+ঈ = এ
অ+ঊ= ও

বৃদ্ধি
গুণের মাধ্যমে অ, আ, এ, ও, অর্‌ স্বরগুলো পাওয়া যায়। এই স্বরগুলোর পূর্বে আবার যদি ‘অ’ আসে তখন বৃদ্ধি ঘটে। যেমন-
অ+অ=আ(লক্ষ্য করুন গুণের সময় ‘অ’ ছিল বৃদ্ধিতে তা ‘আ’ হয়েছে। )
অ+আ=আ
অ+এ = ঐ
অ+ও= ঔ
অ+অর্‌= আর

উদাহরণঃ ‘দিশ্‌’ শব্দের অর্থ দিক। এর প্রথম অক্ষরে ‘ই’ কার আছে। উপরের দিকে লক্ষ্য করুন ‘ই’-কারের গুণে ‘এ’ কার হয়। তখন শব্দটি হবে ‘দেশ’। এবার বৃদ্ধিতে লক্ষ্য করুন ‘এ’ কারের বৃদ্ধিতে ‘ঐ’ কার হয়। তখন শব্দটি হবে ‘দৈশিক’।
অনুরূপভাবে
ধু+আ = ধোয়া(উ-কারের গুণ), বৃদ্ধিতে হবে ‘ধৌত’।

Add a Comment