বর্তমান সরকারের সফলতা

বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কিছু কঠিন ও সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণে সফল হয়েছে। সংবিধানে রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি পুনঃসংযোজিত হয়েছে। একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে এবং হচ্ছে। মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর হয়েছে। দেশব্যাপী সহিংসতা দমনে পুলিশ ও র‌্যাবের সক্ষমতা প্রশংসনীয়। অর্থনৈতিক উন্নতিও উল্লেখযোগ্য। জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক ৬ শতাংশ অতিক্রম করে ৭ শতাংশের ওপর পৌঁছে গেছে। দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়ে কমবেশি ২০ শতাংশে এসেছে।

অতিদরিদ্রের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। কৃষি ও শিল্প উভয় ক্ষেত্রের উন্নতি ঈর্ষণীয়। বাহাত্তরে সাড়ে সাত কোটি মানুষের প্রয়োজনের ৬০ শতাংশ চাল উৎপন্ন হতো দেশে। এখন ১৬ কোটি মানুষের প্রয়োজনীয় চাল প্রায় পুরোটাই দেশের কৃষককুল উৎপাদন করে। অন্যদিকে দেশের পোশাকশিল্প একে একে পাকিস্তান, ভারত ও তুরস্ককে অতিক্রম করে একমাত্র চীনের পর দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টায় অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। বিশ্বব্যাংকের ভ্রুকুটি উপক্ষো করে নিজ সামর্থ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণে হাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আত্মশক্তির এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।

এতসব অর্জনের পর দেশের ব্যাংকিং খাতে যে লুণ্ঠন-প্রক্রিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘটেছে, তা অর্জনকেই শুধু ম্লান করেনি, বরং সেই সঙ্গে আগামীর জন্য টাইম বোমার মতো ওত পেতে আছে।

Add a Comment