বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক পাঁচ খুনির মধ্যে এ এম রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে নানামুখী চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা আশাবাদী।
কানাডায় আশ্রয় নেওয়া এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীর বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি সেখানে জনমত গঠনেরও চেষ্টা চলছে। এ জন্য বাংলাদেশি বংশােদ্ভূত কানাডার নাগরিকদের যুক্ত করা হচ্ছে।
অন্যদিকে পলাতক অপর তিন খুনি খন্দকার। আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও রিসালদার মােসলেম উদ্দিনের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে এখন পর্যন্ত সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা দাবি করেছেন, এক দশক ধরে লিবিয়া, পাকিস্তান, কেনিয়া, জার্মানি, স্পেনসহ বিভিন্ন দেশে এই তিন খুনির উপস্থিতির তথ্য পাওয়া যায়। ওই সব দেশে নানাভাবে তথ্য মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় হয় ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর। তৎকালীন ঢাকার দায়রা জজ কাজী গােলাম রসুল ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় দেন। পরে উচ্চ আদালত ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি রাতে খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আরেক খুনি আজিজ পাশা ২০০১ সালের জুনে জিম্বাবুয়েতে মারা যান।

Add a Comment