Category: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য

চর্যাপদের ভাষা অস্পষ্ট ও দুর্বোধ্য। সেই কারণে চর্যায় ব্যবহৃত ভাষাকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেছেন সন্ধ্যাভাষা।

দৌলত উজির বাহরাম খান (আনুমানিক ১৬শ শতক) মধ্যযুগীয় বাংলা কবি। তার প্রকৃত নাম ছিল আসা উদ্দীন। জন্ম চট্টগ্রাম জেলার ফতেয়াবাদ কিংবা জাফরাবাদে।

‘চন্দ্রাবতী’ কাব্য রচনা করেছেন আরাকান রাজ্যের মন্ত্রী, আলাওলের পৃষ্ঠপোষক ও আরাকান রাজসভার প্রথম বাংলা কবি- কোরেশী মাগন ঠাকুর সতেরো শতকে রচনা করেন। অপরদিকে ‘চন্দ্রাবতী ও জয়চন্দ্র’ নয়ানচাঁদ ঘোষ

বৈষ্ণব পদাবলীর আদি ও অবাঙালি কবি বিদ্যাপদি ছিলেন মিথিলার রাজার সভা কবি। তাঁকে “অভিনব জয়দেব” ও “মৈথিলির কোকিল” বলে ডাকা হয়।

বিদ্যাসাগরের ‘জীবন-চরিত’ (১৮৯১- মরণোত্তর প্রকাশিত, বাংলা সাহিত্যের প্রথম আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ।

শুদ্ধ বানান- শূন্য, পুণ্য ভুবন, যে সকল শব্দের ‘ভূ’ অর্থ পৃথিবী সেগুলোতে ‘ঊ’ হবে। যেমন ভূগোলক, কিন্তু ভুবনমোহিনী।

‘একত্রিত’ না ব্যবহার করে ‘একত্র’ ব্যবহার করলে অপপ্রয়োগ ঘটবে না।

তুর্কি ভাষা থেকে আগত শব্দগুলোর মধ্যে আছে- চাকর, চাকু, তোপ, দারোগা, বাবা। সংস্কৃত ‘মাতা’ থেকে প্রাকৃত ‘মাআ’ তা থেকে বাংলায় ‘মা’ তাই ‘মা’ একটি তদ্ভব শব্দ।

মরমী সাধক লালন শাহের পাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলে নিপুণ শব্দ চয়নে অনেক গান সৃষ্টি করেগেছেন। তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে আছে- কেউ মালা কেউ তসবি গলায় তাইতো জাত ভিন্নবলায়

শামসুর রাহমান