FAO
|The FAO is Food and Agriculture Organization of the United Nations. এটি জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধোত্তর পৃথিবীর উদবাস্তুদের খাদ্য সহায়তা লক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ১৯৪৩ সালে এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে বিশ্বের ১৪১ টি দেশ অংশগ্রহণ করে। এখানে খাদ্য ও কৃষি নিয়ে আলোচনা করা হয়। ফলশ্রুতিতে ১৯৪৫ সালের ১৬ অক্টবর, কানাডার কুইবেক শহরে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে ১৬ অক্টবরকে বিশ্ব খাদ্য দিবস হিসাবে পালন করা হয়। এর সদর দপ্তর ইতালির রোমে।
উদ্দেশ্য
সদস্য দেশসমূহের কৃষি, মৎস, বনায়নে অবদান রাখা।
সবার জন্য গুণগত পুষ্টি ও খাদ্য নিশ্চিত করা।
ল্যাটিন ভাষায় এর স্লোগান হল- “Fiat panis” যার ইংলিশ করলে হয় “Let there be bread”.
সংস্থাটির পুরা নাম ‘দা ফুড এ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন অফ দি ইউনাইটেড নেশনস’। এটি ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭টি দেশ এর সদস্য। সংস্থাটি সারা বিশ্বে ক্ষুধার বিরুদ্ধে কাজ করছে। ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণের মাধ্যমে বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়ন হচ্ছে ফাও-এর প্রধান লক্ষ্য।
বাংলাদেশ ফাও-এর একটি সদস্য রাষ্ট্র। ঢাকাতে এর শাখা অফিস আছে। বাংলাদেশের খাদ্য ও কৃষির উন্নয়নে ফাও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। উপরন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায়ই আমাদের দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এই সমস্যার মোকাবেলায় একটি খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ফাও সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়। এছাড়াও ফাও খাদ্যদ্রব্য সরবরাহে সহায়তা ও কৃষির উন্নয়নে পরামর্শ দিয়ে থাকে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা করে। ঝড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদে ও প্রান্তিক চাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তাও দেয় সংস্থাটি।