মানবাধিকার পরিষদ
|মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনকারী কিছু দেশের জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও অস্বস্তির পটভূমিতে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মানবাধিকার পরিষদ। এই পরিষদ গঠনের উদ্দেশ্য ছিল মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোতে বিশেষ তদন্ত অনুষ্ঠান, জাতিসংঘের সব সদস্যরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যালোচনা এবং বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে স্বাধীন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করে তাদের সুপারিশ ও সহায়তা গ্রহণ করা।
১ জানুয়ারি, ২০১৯ থেকে তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৪৭ সদস্যের পরিষদের নির্বাহী সদস্য হিসেবে কাজ করবে বাংলাদেশ। এ মর্যাদা পেতে বাংলাদেশ বিশেষভাবে তুলে ধরেছে প্রায় ১০ লাখ নির্যাতিত রোহিঙ্গার আশ্রয় এবং ভরণপোষণের ভার গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ কীভাবে তার আন্তর্জাতিক মানবিক দায়িত্ব পালন করছে।
কিন্তু
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর সময়কালে দেশে গুমের শিকার হয়েছেন ২৬ জন, আর ক্রসফায়ারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন ৪৩৭ জন। আরেকটি মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের হিসাবে শুধু অক্টোবর মাসেই গুম হয়েছেন ১৩ জন এবং ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন ১৯ জন।
আশার কথা
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থারী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন- সরকার অঙ্গীকার করেছে যে সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা এবং মানবাধিকার বিষয়ক যে সব সনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে, সেগুলো পুরোপুরি ভাবে পালন করা হবে।
৮ ডিসেম্বর, প্রথম আলো থেকে সংগ্রহীত।