সুইচ

সুইচ(Switch) ও হাবের মতো একটি ক্ষুদ্র আইসিটি যন্ত্র। বর্তমানে যেকোনো নেটওয়ার্ক তৈরি করতে বেশিরভাগ সময় সুইচ ব্যবহার করা হয়। হাবের সাথে সুইচের প্রধান পার্থক্য হলো সুইচ তারের সাথে যুক্ত প্রত্যেকটি আইসিটি যন্ত্রকে পৃথকভাবে শনাক্ত করতে পারে। কিন্তু হাব তা পারে না। ফলে সুইচ দিয়ে তৈরি নেটওয়ার্কের যেকোনো আইসিটি যন্ত্ৰ (Node) সরাসরি অন্য যন্ত্রের সাথে যোগযোগ করতে পারে। সুইচের সাথে যুক্ত যন্ত্রগুলো শুধু যাকে ডেটা বা উপাত্ত পাঠাতে চায় তাকেই উপাত্ত পাঠায়।

Hub Switch
Switch

এখন প্রশ্ন হলো সুইচ এ কাজটি কীভাবে করে?
সুইচ তার সাথে সংযুক্ত প্রত্যেকটি আইসিটি যন্ত্রের একটি করে ঠিকানা বরাদ্দ করে এবং ঐ ঠিকানা অনুযায়ী তথ্যের আদান-প্ৰদান করে। অর্থাৎ কোনো একটি ঠিকানা থেকে অন্য কোনো ঠিকানায় উপাত্ত বা ডেটা পাঠাতে চাইলে সুইচ এক ঠিকানার তথ্য অন্য ঠিকানায় পৌছে দেয়। এ বরাদ্দকৃত ঠিকানাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভাষায় MAC Address (Media Access Control address) নামে ডাকা হয়। আলাদা আলাদা ঠিকানা ব্যবহারের কারণে সুইচ হাবের চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারে। এজন্য নেটওয়ার্ক তৈরিতে সুইচই এখন সবার পছন্দ।

প্রচলিত circuit-switched telephone network এ সুইচ ব্যবহার হয় কেউ (কোন মোবাইল থেকে ) Call করলে তা কার কাছে যাবে। অর্থাৎ কার মোবাইলে কলটি যাবে তা নির্ধারণ করে কল ফরোয়ার্ড করা।

LAN কানেকশন দিয়ে কয়েকটি কম্পিউটার যুক্ত থাকলে তাদের MAC Address দেখে সুইচ সিদ্ধান্ত নেয় কোন কম্পিউটারের কাছে উক্ত ডাটা বা তথ্য পাঠাতে হবে।

আর ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে IP Address দেখে সুইচ সিদ্ধান্ত নেয় কোন ডিভাইসের (কম্পিটার বা মোবাইল) কাছে ডাটা প্যাকেট পাঠাতে হবে।

Add a Comment