বৈশ্বিক উষ্ণয়ন
একশত বছর পূর্বের তুলনায় বর্তমান বিশ্বে গড় তাপমাত্রা প্রায় ০.৫ বা ০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। জীব বৈচিত্র যথাযথভাবে সংরক্ষিত না হলে ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.৫-৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে। ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ঘটবে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। জলবায়ুর স্থানীয় বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতার কারণে স্থানবিশেষে এ মাত্রার পার্থক্য হতে পারে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি বছর বিশ্বে ১ শতাংশ হারে বন ধ্বংস করা হচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগের কারণ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ চিত্র আরো করুণ। অধিক জনবহুল এ দেশটিতে যেখানে বনভূমি থাকার কথা ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ, সেখানে বন বিভাগের তথ্যমতে বনভূমি আছে ১৮ শতাংশ। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ ৭ শতাংশ। অন্যদিকে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন ৫ শতাংশ কমানোর কথা জানিয়েছে। কিন্তু যেখানে এখনো প্রতি বছর বনভূমি নিধনের হার ২ শতাংশের উপরে, সেখানে সরকার কার্বন নির্গমন কমানোর যে পরিকল্পনা করেছে তা বাধাগ্রস্ত হবে। বর্তমানে বিশ্বের তাপমাত্রা প্রতি দশকে গড়ে শূন্য দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে বাড়ছে, এটি হচ্ছে তাপমাত্রা বৃদ্ধির গ্লোবাল স্কেল।