বিপ্রদাস পিপলাই (মতান্তরে বিপ্রদাস পিপিলাই) ছিলেন পঞ্চদশ শতাব্দীর এক বিশিষ্ট বাঙালি কবি। তিনি মনসামঙ্গলের কবি। তিনি অধুনা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অন্তর্গত বাদুড়িয়া-বাটাগ্রামের বাসিন্দা মুকুন্দ পিপলাইয়ের পুত্র
কানা হরিদত্ত (১২ – ১৩ শতক) ছিলেন মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি। কানা হরিদত্তের জন্ম ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার সিংরৈল দত্তবাড়িতে। তাঁর রচিত কোনো কাব্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বিজয়গুপ্ত মণসামঙ্গল ধারার প্রথম উল্লেখযোগ্য কবি। তাঁর মনসামঙ্গল (বা পদ্মপুরাণ) বাংলার জনপ্রিয় কাব্য গুলির মধ্য অন্যতম। বিজয়গুপ্তের পূর্বে আমরা পাই আদি মঙ্গল কবি কানাহরি দত্ত ও বিপ্রদাস পিপলাইকে।
দ্বিজ বংশীদাস (১৬শ-১৭শ শতক) মধ্যযুগের বাংলা মনসামঙ্গল কাব্যধারার অন্যতম কবি। তাঁর মেয়ে চন্দ্রাবতী রামায়ণ রচনা করেন। চন্দ্রাবতী বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি। ভাল চরিত্র ও মিষ্টকন্ঠ দ্বিজ বংশীদাসকে
দ্বিজ বংশীদাস (১৬শ-১৭শ শতক) মধ্যযুগের বাংলা মনসামঙ্গল কাব্যধারার অন্যতম কবি। তিনি কিশোরগঞ্জের পাতুয়ারী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা যাদবানন্দ ছিলেন একজন গায়েন এবং কন্যা চন্দ্রাবতী ছিলেন কবি। চন্দ্রাবতী রামায়ণ
ধর্মমঙ্গল মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের মঙ্গলকাব্য ধারার তিনটি প্রধান শাখার অন্যতম (অপর শাখাদুটি হল মনসামঙ্গল ও চণ্ডীমঙ্গল)। এই কাব্য রচনার প্রধান উদ্দেশ্য দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলার লৌকিক অনার্য দেবতা ধর্মঠাকুরের মাহাত্ম্য
কয়েকজন কবি গঙ্গামঙ্গল কাব্য রচনা করেন। এদের মধ্যে দ্বিজমাধব প্রাচীনতম। ধারনা করা হয় তিনি চণ্ডিমঙ্গলের দ্বিজমাধব। তিনি শী চৈতন্য মহাপ্রভুর ভক্ত ছিলেন। গঙ্গা নদীর স্বর্গ থেকে মর্তে ও
চণ্ডীমঙ্গল বা অভয়ামঙ্গল মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের মঙ্গলকাব্য ধারার অন্যতম প্রধান কাব্য। মঙ্গলকাব্য ধারার অন্য দুই উল্লেখযোগ্য কাব্য মনসামঙ্গল ও ধর্মমঙ্গল। জনশ্রুতি অনুসারে চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি-কবি মানিক দত্ত। এই
এক নজরে মঙ্গলকাব্য বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বিশেষ এক শ্রেণীর ধর্মবিষয়ক আখ্যান কাব্য মঙ্গলকাব্য নামে পরিচিত। বলা হয়ে থাকে, যে কাব্যে দেবতার আরাধনা, মাহাত্ম্য-কীর্তন করা হয়, যে কাব্য শ্রবণেও