রপ্তানিতে প্রযুক্তি পণ্য

লক্ষ্যঃ বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানি করে ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য মাত্রা স্থির করেছে। এবং সে লক্ষে কাজ করছে। ২০১৮ সালে এ লক্ষ ১ বিলিয়ন ডলার ধরা হয়েছে। এটি যে অর্জন যোগ্য তা বর্তমান অবস্থা বিচার করলেই বোঝা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশর ১২০ টি কোম্পানি বিশ্বের ৩৫ টি দেশে যে প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানি করে তা থেকে বছরে আয় হয় ৭৫০-৮০০ মিলিয়ন ডলার। আর ২০২৮ সালের তা ১১ বিলিয়নে উত্তীর্ণ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এটা স্পষ্টত যে এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের অনেক কাঠ খর পুড়িয়ে অনেক দিক দিয়ে উন্নতি করতে হবে।

প্রতিবন্ধকতাঃ
যদিও বাংলাদেশ সে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে, এ লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আসন্ন বছরগুলো হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা, নতুন নতুন প্রযুক্তি যেমন Internet of Things(IoT), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা(Artificial Intelligence), রবোটিক্স ইত্যাদির সাথে খাপ খেয়ে উঠতে হবে তাড়াতাড়ি।

প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টদের মতে, বিশ্বে অনেক কাজের অফার থাকলেও দক্ষ লোকবলের অভাবে তা নেওয়া যায় না। তাই দক্ষ জনবল তৈরী একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালগুলোর সিলেবাসে নতুন কিছু অন্তর্ভুক্ত করতে কম করে হলেও তিন বছর লাগে। তাই অনেক সময় দেখা যায় যে সিলেবাস পরিবর্তন করতে করতে ঐ প্রযুক্তির বাজারই হয়ত আর থাকে না।

বিশেষজ্ঞদের মতামত যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রবোটিক্সের কারনে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। তাই প্রযুক্তির উৎকর্ষের সাথে সাথে আমাদেরকে এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।

উপরোক্ত লক্ষ্যগুলো অর্জনে আমদের শুধু ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এর উপর নির্ভর করলেই চলবে না। অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রীয় ও সরকারি প্রজেক্টে কাজ করার মত দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।

পদক্ষেপঃ
সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মিত হচ্ছে। যেখানে ২০ লাখ তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থান হবে।

একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে চলনবিল-অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলায় হবে তথ্যপ্রযুক্তির মিনি সিঙ্গাপুর। সিংড়াতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাইটেক পার্ক, ইনকিউবেশন সেন্টার, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার এবং টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে।


👉 Read More...👇

Add a Comment