মুজিব ভাই- জীবনীগ্রন্থ
|মুজিব ভাই বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সম্পর্ক ও যোগাযোগের উপর এ বি এম মূসা রচিত জীবনীগ্রন্থ। সাংবাদিক, কলাম লেখক, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক মূসা শেখ মুজিবুর রহমানকে ভাই বলে সম্বোধন করতেন। বইটি ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়; প্রকাশ করে প্রথমা প্রকাশন। বইটির ভূমিকা লিখেছেন আবদুল গাফফার চৌধুরী।
পটভূমি
এ বি এম মূসার সাংবাদিক জীবন ও শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন একই সময়ের না হলেও তিনি শেখ মুজিবকে কাছ থেকে দেখেছেন। ১৯৪৮ সালে শেখ মুজিব গণতান্ত্রিক যুবলীগ গঠনের উদ্যোগ নিলে অন্যান্য যুবকদের সাথে মূসাও যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় থেকে তিনি শেখ মুজিবকে যেমন দেখেছেন ও তার সাথে গড়ে ওঠা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্কের চিত্র বিবৃত করেছেন এই বইতে।
সূচিপত্র বইটিতে ছোট বড় ১২টি অধ্যায় রয়েছে।
আমার কথা
অন্তরঙ্গ আলোকে কিছু স্মৃতি
রঙ্গরসে বঙ্গবন্ধু
প্রেরণীদায়িনী ফজিলাতুন্নেসা মুজিব
স্মৃতিতে কামাল-জামাল-রাসেল
মওলানা ও তাঁর মজিবর
সাতই মার্চের যুদ্ধ ঘোষণা
বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসা এবং একটি সংশ্লিষ্ট কাহিনি
শেখ মুজিবের বিশাল হৃদয়খানি
অকুতোভয় পিতা, নিবেদিতপ্রাণ পুত্র
বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ
‘দ্য ট্রায়াল অব হেনরি কিসিঞ্জার’: রক্তাক্ত ১৫ আগষ্ট
গ্রন্থালোচনা
বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় এক গ্রন্থালোচনায় রোবায়েত ফেরদৌস এই বই সম্পর্কে লিখেন, “‘ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা’ কেমন করে ‘সবার অভিজ্ঞতা’ হয়ে ওঠে? – এ বই তার বড় প্রমাণ।” তিনি বলেন মূসা তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণমূলক এই বইটিকে তাঁর লেখার দক্ষতা আর তীক্ষ্ন লেখক সত্তা দিয়ে এমনভাবে রচনা করেছেন যে তা শেখ মুজিবের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের ঘটনাবলীর পাশাপাশি বাঙালি জাতির রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের অমূল্য দলিল হয়ে থাকবে।
যায়যায়দিন পত্রিকায় মাহমুদুল বাসার লিখেছেন, “এ বি এম মূসা আটপৌরে ভাষায়, হৃদয়স্পর্শী স্মৃতিচারণায় বঙ্গবন্ধুর সাহস ব্যক্তিত্ব, নির্লোভ নেতৃত্ব, বাগ্মিতা, দূরদর্শিতা সর্বোপরি জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নেয়ার ক্ষমতার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন”।
প্রথম আলোর কলাম লেখক ও কবি সোহরাব হাসান লিখেছেন, “স্মৃতিচারণা নয়, আবার মূল্যায়নধর্মী লেখাও নয়। এ দুইয়ের মিশেলে এমন সব ছবি এঁকেছেন, যা বিক্ষিপ্ত হলেও শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রের স্বরূপ খুঁজে পাওয়া যায়।” তিনি আরও বলেন এবিএম মূসার এই বইটির ভাষা সরল ও সহজ। অনেকটা কথা বলার ভঙ্গিতে ও গল্পের ছলে ঘটনাবলী বিবৃত হয়েছে।