ব্যাংক কেলেঙ্কারি

ইসলামী ব্যাংকঃ ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংকটির মালিকানা পরিবর্তন হয়। এর মধ্যেই(বর্তমান-২৫এপ্রিল,২০১৮) অব্যবস্থাপনা ও পারস্পারিক দ্বন্দ্বের কারনে নানা ধরনের সংকটে পড়েছে দেশের বৃহৎ বেসরকারি ব্যাংকটি। ব্যাংক সুত্রে জানাগেছে ২০১৮ সালের ২২ এপ্রিল পর্যন্ত আমানত এসেছে ১হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। অপরদিকে ঋণ দিতে হয়েছে তার তিনগুণ প্রায়, ৪ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া ঋণ আমানত অনুপাত(Advance Deposit Ratio-ADR) ৮৯% অতিক্রম করেছে ব্যাংকটি। ব্যাংকটির বর্তমান ADR ৯২%।

সোনালী ব্যাংকঃ হলমার্ককে ঋণ দেওয়া ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার এক টাকাও ফেরত পায়নি।

জনতা ব্যাংকঃ ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে অ্যাননট্যাক্সকে।

বেসিক ব্যাংকঃ ৫৫০৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে বলে খবরে দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থমন্ত্রণালয় সহ অধিকাংশ প্রতিবেদনে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতার কথা উঠে আসে। খোদ অর্থ মন্ত্রী বেসিক ব্যাংকের এ ঘটনাকে ‘হরিলুট’ বলেছেন। ও এর পেছনে আব্দুল হাইয়ের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। জাতীয় সংসদে ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংসদীয় কমিটিতেও এ জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কমিটির সদস্যরা। কিন্তু মজার ব্যাপার হল এ জালিয়াতির ঘটনায় করা ৬১টি মামলার কোনটিতেই শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুর নাম নেই!!