সাবমেরিন ক্যাবলে বাংলাদেশ

সাবমেরিন ক্যাবলঃ পলিথিন, স্টিল অ্যালুমিনিয়াম, কপার ও অপটিক্যাল ফাইবার সহ আট স্তররে এক ধরনের কমইনিকেশন ক্যাবল। যা সাগর গর্ভে রেখে ও বিভিন্ন স্থানে ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে। এ ক্যাবল এন্টার্কটিকা মহাদেশ ছাড়া সকল মহাদেশ কে সংযুক্ত করেছে। স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের স্পিড যেখানে ১০০০ মেগাবিটস পার সেকন্ড, এর ল্যাটেন্সি ও অনেক বেশি। সাবমেরিন ক্যাবলের স্পিড টেরাবিটস প্রতি সেকেন্ড, ল্যাটেন্সি ও অত্যন্ত কম। ল্যাটেন্সি হল ঐ ক্যাবলের মাধ্যমে কোন তথ্য চাওয়া ও তা পাওয়ার মধ্যবর্তী সময় ব্যবধান।

SEA-ME-WE-4-Route
SEA-ME-WE-4-Route

South East Asia–Middle East–Western Europe 4 (SEA-ME-WE 4): এই ক্যাবলের কাজ শুরু হয় ২০০৪ সালে শেষ হয় ২০০৫ সালে। এটির স্পিড 1.28 Tbit/s। যা SEA-ME-WE 3 এর পরিপূরক ক্যাবল হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি টেলিফোন, ইন্টারনেট, মাল্টিমেডিয়া ও অন্যান্য ব্রোডব্যান্ড ডেটা অ্যাপ্লিকেশন পরিবহণে নিয়োজিত। এই ক্যাবল সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আরব আমিরাত, সৌদি, সুদান, মিশর, তিউনিশিয়া, আলজেরিয়া, ফ্রান্স ও ইতালিকে সংযুক্ত করেছে। এই ক্যাবলের সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হয় ২০০৫ । দেশে যার ল্যান্ডিং স্টেশন দক্ষিণ-পূর্বের উপকূলীয় শহর কক্সবাজারে

SEA-ME-WE-5 Route
SEA-ME-WE-5 Route

দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই৫ (SEA-ME-WE5)-এ ক্যাবলের কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে শেষ হয় ২০১৬ সালে। যা পূর্বের ২, ৩,৪ ক্যাবলের সাথে ব্যবহার হচ্ছে। এ ক্যাবল টিও সিঙ্গাপুর থেকে ফ্রান্স পর্যন্ত ব্যাপ্ত। কম ল্যাটেন্সি সহ 24 Tbit/s ক্যাপাসিটির সুবিধাসহ এটি তৈরি করা হয়। ক্যাবলে-৪ এর দেশগুলোসহ , ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, অমান, কাতার, জিবুতি, ও তুরস্ককে যুক্ত করেছে। এর সঙ্গে ২০১৬ সালে আমরা সংযুক্ত হয়েছি, দক্ষিণ-পশ্চিম সাগরপাড়ের কুয়াকাটায়

এই দুটি ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন একে অন্যের কাছ থেকে ৩০০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে। সাগর থেকে উঠে আসা এই দুটি অবকাঠামোর ভৌগোলিক দূরবর্তিতা বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযুক্ত থাকার সক্ষমতা বহুগুণ বেড়েছে। সরকারি মালিকানাধীন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি ( বিএসসিসিএল ) এই কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত।


👉 Read More...👇

Add a Comment