বাংলাদেশের সঙ্গীত
|আবহমান কাল থেকে বাংলাদেশে সঙ্গীতের ব্যাপক প্রচার রয়েছে। সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়েছে সঙ্গীতের কথায়, সুরে, যন্ত্রে ও গায়কিতে। প্রাচীন বৌদ্ধ সমাজে চর্যাপদ একটি বিশেষ জায়গা দখল করে ছিল। বৌদ্ধ ধর্মপ্রচারকেরা তা গানের সুরে উচ্চারণ করতেন।
মধ্যযুগে সঙ্গীত
এদেশে মধ্যযুগে সঙ্গীতচর্চা ছিল উচ্চমানের। মধ্যযুগে আলাওল রচিত মঙ্গলকাব্য ছিল এক প্রকারের সঙ্গীতের ভান্ডার।
মধ্যযুগীয় মুসলিম সমাজে সঙ্গীত
মধ্যযুগে মুসলিম সমাজে পুঁথি পাঠের আসর বসত। পুঁথিগুলো পাঠ করা হত গানের সুরে। পুঁথিগুলো নেওয়া হত আরব্য উপন্যাস,পারস্য থেকে পাওয়া বিভিন্ন আখ্যান থেকে। কয়েকটি পুঁথি হলঃ
ইউসূফ-জোলেখা
লায়লি-মজনু
জঙ্গনামা
সায়ফুল মুলক বদিউজ্জামান ইত্যাদি
এছাড়া সে যুগে বাদ্য ছাড়া একধরণের সৃষ্টিকর্তার স্তুতি গাওয়া হত যা গজল নামে পরিচিত ছিল।
মধ্যযুগীয় হিন্দুসমাজে সঙ্গীত
মধ্যযুগের হিন্দু সমাজে সবচেয়ে বেশী সঙ্গীতে প্রচলন ছিল। হিন্দুরা পূজায় দেবতার উদ্দেশ্যে গান গাইত। তখনকার হিন্দু সমাজে কীর্তন গান হত। এছাড়া ছিল বৈষ্ণব পদাবলি।
লোকগীতি
লোকগীতি বলতে বোঝানো হয় নজরুলগীতি,রবীন্দ্রসঙ্গীত,পল্লীগীতি, লালনগীতি ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে ভাওয়াইয়্যা,ভাটিয়ালি,মুর্শিদি,গম্ভীরা,বারমাস্যা,বাউলসঙ্গীত ইত্যাদি। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা গানটির সুর নেওয়া হয়েছে এক বাউলগান এর সুর থেকে।
আধুনিক গান
আধুনিক গান হল আধুনিক বাদ্যযন্ত্র যেমনঃ গিটার, পিয়ানো, হারমোনিয়াম, বাঁশি, ড্রাম, বেহালা ইত্যাদি সহযোগে যে গান গাওয়া হয়।এসব গান অনেক ধরণের হয়ঃ
- ব্যান্ড সঙ্গীত
- পপসঙ্গীত
- জাজসঙ্গীত