সেলিম আল দীন
|প্রখ্যাত বাংলাদেশী নাট্যকার ও গবেষক সেলিম আল দীন জন্মেছিলেন ১৯৪৯ সালের ১৮ই আগস্ট ফেনীর সোনাগাজী থানার সেনেরখিল গ্রামে।
লেখক হিসাবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৬৮ সালে, কবি আহসান হাবিব সম্পাদিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকার মাধ্যমে। আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের নিয়ে লেখা তাঁর বাংলা প্রবন্ধ নিগ্রো সাহিত্য ছাপা হয় ওই পত্রিকায়। তাঁর প্রথম রেডিও নাটক বিপরীত তমসায় ১৯৬৯ সালে এবং টেলিভিশন নাটক আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় লিব্রিয়াম (পরিবর্তিত নাম ঘুম নেই) প্রচারিত হয় ১৯৭০ সালে। আমিরুল হক চৌধুরী নির্দেশিত এবং বহুবচন প্রযোজিত প্রথম মঞ্চনাটক সর্প বিষয়ক গল্প মঞ্চায়ন করা হয় ১৯৭২ সালে। তিনি শুধু নাটক রচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন নি, বাংলা ভাষার একমাত্র নাট্য বিষয়ক কোষগ্রন্থ বাংলা নাট্যকোষ সংগ্রহ, সংকলন, প্রণয়ন ও সম্পাদনা করেছেন। তার রচিত হরগজ নাটকটি সুয়েডীয় ভাষায় অনূদিত হয় এবং এ নাটকটি ভারতের রঙ্গকর্মী নাট্যদল হিন্দি ভাষায় মঞ্চায়ন করেছে।
সেলিম আল দীন বাংলাদেশে গ্রাম থিয়েটারের প্রবর্তন করেন ও বাংলা নটকের উন্নয়নের বিশেষ ভূমিকা রাখেন, এজন্য অনেকেই তাঁকে ‘নাট্যাচার্য‘ হিসাবে সম্বন্ধন করেন।
তিনি ‘একাত্তরের যীশু’ নামক চলচ্চিত্রের সংলাপ রচনা করেন।
তিনি ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় মসজিদের কাছে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
তাঁর লিখিত নাটকঃ কিত্তন খোলা, কেরামত মঙ্গল, চরকাকড়ার ডকুমেন্টারি, মুনতাসির ফ্যান্টাসি, এক্সপ্লসিভ ও মূল সমস্যা, জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, হরগজ, হাত হদাই, চাকা, সর্প বিষয়ক গল্প, যৈবতি কন্যার মন।
মনে রাখার কৌশলঃ
কিত্তনখোলার কারামত ও চরকাকড়ার মুনতাসিরের মূল সমস্যা জন্ডিস, কিন্তু তারা হারিকেন হাতে নিয়ে চাকা ঘুরিয়ে ও সাপের গল্প শুনিয়ে যুবতি কন্যার মন জয় করতে চায়।