ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিতগণ
|একাধিক বিশিষ্ট পণ্ডিত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে শিক্ষাদান করেছেন। ভারতীয় ভাষাগুলির বিকাশে এদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এঁদের কয়েকজনের তালিকা নিচে দেওয়া হল।
উইলিয়াম কেরি(১৭৬১ –১৮৩৪)উইলিয়াম কেরি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন। (২৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) তিনি ১৮০১ সাল থেকে ১৮৩১ সাল পর্যন্ত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে শিক্ষাদান করেন। এই পর্বে তিনি একটি বাংলা ব্যাকরণ ও অভিধান, একাধিক পাঠ্যপুস্তক, বাংলা বাইবেল এবং একাধিক ভারতীয় ভাষার ব্যাকরণ ও অভিধান প্রণয়ন করেন। উইলিয়াম কেরি বাংলায় নিচের গ্রন্থ দুটি রচনা করেন।
ii. ইতিহাসমালা (১৮১২)
মৃত্যুঞ্জয় তর্কালঙ্কার (১৭৬২ – ১৮১৯) ছিলেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রথম হেড পণ্ডিত। তিনি একাধিক পাঠ্যপুস্তক রচনা করেন। তাঁকে বাংলা গদ্যের প্রথম ‘সচেতন শিল্পী’ মনে করা হয়। সংস্কৃত পণ্ডিত হয়েও তিনি কলেজের প্রয়োজনে বাংলা লিখতে শুরু করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
ii. হিতোপদেশ(১৮০৮)
iii. রাজাবলী(১৮০৮)
iv. বেদান্ত চন্দ্রিকা(১৮১৭)
v. প্রবোধচন্দ্রিকা(১৮১৩)
রামরাম বসু (১৭৫৭ – ১৮১৩) কলেজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। (৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) তিনি উইলিয়াম কেরি, জোসুয়া মার্শম্যান ও উইলিয়াম ওয়ার্ডকে প্রথম বাংলা বাইবেল প্রকাশনায় সহায়তা করেন। বিশেষভাবে- উইলিয়াম কেরিকে তিনি বাংলা শিখতে সহায়তা করেন, তাই তিনি কেরি সাহেবের মুন্সি হিসাবে পরিচিত হন। রামরাম বসুর লেখা গ্রন্থ ২টি
ii. লিপিমালা(১৮০২)- এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রসাহিত্য।
তারিণীচরণ মিত্র (১৭৭২ – ১৮৩৭) ছিলেন ইংরেজি, উর্দু, হিন্দি, আরবি ও ফার্সি ভাষায় পণ্ডিত। তিনি হিন্দুস্তানি ভাষা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনিও বাংলায় অনেক গল্প অনুবাদ করেন। তাঁর রচিত একটি গ্রন্থ – দি ওরিয়েন্টাল ফেবুলিস্ট।
গোলকনাথ শর্মাঃ তিনি ১৮০২ সালে ‘হিতপদেশ’ নামে একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন।
রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়ঃ তিনি ১৮০৫ সালে ‘মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র বায়স্য চরিত্রং’ নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন।
হরপ্রসাদ রায়ঃ পুরুষ পরীক্ষা(১৮০৫)
চণ্ডীচরণ মুনশীঃ তোতা ইতিহাস(১৮০৫)
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০ –১৮৯১) ১৮৪১ থেকে ১৮৪৬ সাল পর্যন্ত ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের হেড পণ্ডিত ছিলেন। এই কলেজে অধ্যাপনাকালে তিনি ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় মনোনিবেশ করেন।
মদনমোহন তর্কালঙ্কার (১৮১৭ – ৫৮) ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে শিক্ষকতা করতেন। তিনি একাধিক পাঠ্যপুস্তক রচনা করেন।