ধর্মমঙ্গল কাব্য
|ধর্মমঙ্গল মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের মঙ্গলকাব্য ধারার তিনটি প্রধান শাখার অন্যতম (অপর শাখাদুটি হল মনসামঙ্গল ও চণ্ডীমঙ্গল)। এই কাব্য রচনার প্রধান উদ্দেশ্য দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলার লৌকিক অনার্য দেবতা ধর্মঠাকুরের মাহাত্ম্য প্রচার। এই কাব্যের উপাদান মূলত রাঢ় বাংলার রাজনৈতিক ও সামাজিক উপাদান।
ধর্মমঙ্গল কাব্যে দুটি কাহিনি সন্নিবেশিত হয়েছে: প্রথমটি পৌরাণিক রাজা হরিশ্চন্দ্রের কাহিনি, এবং দ্বিতীয়টি লাউসেনের উপাখ্যান। দ্বিতীয় উপাখ্যানটিই কাব্যের মূল উপজীব্য।
ধর্মমঙ্গল কাব্যের প্রধান কবিরা হলেন রূপরাম চক্রবর্তী (বর্ধমান, সপ্তদশ শতাব্দী) ও ঘনরাম চক্রবর্তী (বর্ধমান, সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতাব্দী)। এছাড়া এই কাব্যের অন্যান্য কবিরা হলেন ময়ূরভট্ট (ধর্মমঙ্গলের আদিকবি), শ্যাম পণ্ডিত, ধর্মদাস, রামদাস আদক, সীতারাম দাস, যাদুনাথ বা যাদবনাথ পণ্ডিত, খেলারাম চক্রবর্তী ও মানিকরাম গাঙ্গুলি।
রাঢ় অঞ্চলের সমাজ ও রাজনীতি এই কাব্যের মূল উপজীব্য হওয়ায় কোনো কোনো সমালোচক এই কাব্যকে “রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য” বলে উল্লেখ করেন। তবে এই মত বিতর্কিত।
ধর্মমঙ্গলের আদিকবি ময়ুর ভট্টের রচিত কাব্যের নাম হাকন্দপুরাণ।
ধর্মমঙ্গলের দ্বিতীয় আদি কবি রূপরাম।