কারক
|কারক = কৃ+ণক। অর্থাৎ যা ক্রিয়া সম্পাদন করে। কিন্তু এই ক্রিয়া সম্পাদনের জন্য ব্যক্তি, বস্তু, উপকরণ, স্থান, কাল ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। এগুলো ছাড়া ক্রিয়া সম্পাদন সম্ভব নয়। আর এদের সঙ্গে ক্রিয়া পদের যে সম্পর্ক তাই কারক। অতএব, বাক্যের ক্রিয়ার সাথে অন্যান্য পদের সম্বন্ধকে কারক বলে। আবার ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যস্থ বিশেষ্য কিংবা সর্বনামের যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, “ক্রিয়ার সহিত যে পদের অন্বয় থাকে তাহাকে কারক বলে।” কারকের মাধ্যমেই বাক্যের ক্রিয়া পদের সাথে অন্যান্য পদের সম্পর্ক নির্ণয় করা হয়ে থাকে।
কারকের শ্রেণীবিভাগ/ কারক কয় প্রকার?
কারক ছয় প্রকার:
১. কর্তৃকারক
২. কর্ম কারক
৩. করণ কারক
৪. সম্প্রদান কারক
৫. অপাদান কারক এবং
৬. অধিকরণ কারক
কারক নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি
ক্রিয়াকে প্রশ্ন | উত্তর যে কারক |
---|---|
কে, কারা? | কর্তৃকারক |
কী, কাকে? | কর্মকারক |
কী দিয়ে? | করণকারক |
কাকে? | সম্প্রদান কারক |
কি হতে বের হল? | অপাদান কারক |
কোথায়, কখন, কী বিষয়ে? | অধিকরণ কারক |
উপরের প্রশ্নগুলো আমরা নিচের বাক্যের ক্রিয়াকে করে ভিন্ন ভিন্ন কারক নির্ণয় করব।
‘আজ স্কুলে প্রধান শিক্ষক দরিদ্র তহবিল থেকে নিজ হাতে এক হাজার টাকা ছাত্রদের দিয়েছেন।’
ক) কে দিয়েছেন? প্রধান শিক্ষক — কর্তৃ কারক
খ) কি দিয়েছেন? টাকা — কর্ম কারক
গ) কি দিয়ে দিয়েছেন? নিজ হাতে — করণ কারক
ঘ) কাদের দিয়েছেন? ছাত্রদের — সমপ্রদান কারক
ঙ) কোথা থেকে দিয়েছেন? দরিদ্র তহবিল থেকে — অপাদান কারক
চ) কোথায় দিয়েছেন? স্কুলে — অধিকরণ কারক