প্রবাদ-প্রবচন ২/৭
|আসলে মুষল নেই ঢেঁকি ঘরে চাঁদোয়া -উপযুক্ত ব্যবস্থা অবলম্বনের অভাব।
আহ্লাদের বউ তুমি, কেঁদোনা কেঁদোনা, চাল চিবিয়ে খাব আমি, রেধোনা রেধোনা- দারুন মজার হাহাহাহ্।
ইঁদুর চেনে না ভাগবত পুঁথি- সর্বস্ব অনিষ্টকারী।
ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় -প্রবল ইচ্ছা থাকলে কঠিন কাজও সম্পন্ন করা সম্ভব।
ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয় -অপরের ক্ষতি করলে নিজেরও ক্ষতি হয়।
উচিত কথায় বন্ধু বেজার -সত্য কথা বললে আপনজনও কষ্ট পায়।
উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায় – ভবিষ্যতের আভাস শুরুতেই মেলে।
উঠন্ত বৃক্ষ পত্তনেই চেনা যায় -কাজের আরম্ভ দেখেই পরিণাম বোঝা যায়।
উঠি উঠি করে শুই, উঠতে লাগে দিন দুই- আলস্যে সময় নষ্ট করা।
উদোরপিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে-একের দোষ অন্যের উপর চাপানো।
উনো ভাতে দুনো বল, ভরা ভাতে রসাতল- অল্প বা পরিমাণমত আহার স্বাস্থ্যকর।
উপদেশের চেয়ে দৃষ্টান্ত ভাল – হাতে কলমে ও দৃষ্টান্তমূলক শিক্ষাই কার্যকর ।
উলুবনে মুক্তা ছড়ানো- অযোগ্য পাত্রে মূল্যবান বস্তু দান করা ।
উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ -হাতছাড়া জিনিস দান করা ।
এঁটোপাত না যায় স্বর্গে- পরমুখাপেক্ষীর সমৃদ্ধি সম্ভব হয় না।
একে মা মনসা, তায় ধুনোর গন্ধ – কোপন স্বভাবের ব্যক্তিকে চটানো ।
এক করতে আরেক- ভালো করতে গিয়ে মন্দ হওয়া।
এক কড়ার মুরোদ নাই ভাত মারার গোসাই- আয় না করে ব্যয় করা, বেকার আর কি!!
এক গাঁয়ের কুকুর আর গাঁয়ের ঠাকুর – স্থানান্তর করে নিজ পরিচয় লুকিয়ে সাধু সাজা।
এক গোয়ালের গরু/এক ঝাঁকের কই- একই দল বা মতের লোক।
এক মুরগী কবার জবাই – একই জিনিস বার বার প্রকাশ অর্থে।
এত সুখ যদি কপালে তবে কেন তোর কাঁথা বগলে – নিজের অবস্থা বাড়িয়ে বর্ণনাকারীকে উপহাস ।
এরেণ্ডাও গাছ, পুঁটিমাছ ও মাছ- যোগ্য লোক না থাকলে সামান্য লোকও যোগ্যের মর্যাদা পেতে চায়।
ওঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ে- আকস্মিকভাবে বড় বিষয় সম্পন্নের চেষ্টা।
ওল বলে মান কচু তুমি বড় লাগো – নিজের দোষ ঢেকে অন্যকে গালমন্দ করা।
ওষুধের চেয়ে পথ্যি ভাল – উপাদেয় খাদ্য শরীর ভাল রাখ।
ওস্তাদের মার শেষ রাতে – যতার্থ ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত সফল হয়, সব ভাল তাঁর শেষ ভাল যার/ শেষ রক্ষাই রক্ষা ।
কত ধানে কত চাল – অভিজ্ঞতা অর্জন।
কথায় টলার চেয়ে পায়ে টলা ভালো- কথার পরিবর্তন না করে চলে যাওয়াই(পা বাড়ানো) শ্রেয়।
কপালে নাই ঘি, ঠকঠকালে হবে কি- ভাগ্যে না থাকলে কিছুই পায়া যায় না।
কর্কশ কথা অগ্নিদাহের চেয়েও ভয়ঙ্কর- কটাক্ষ কথার তীব্রতা।
কলাপোড়া খাও- শ্রদ্ধার অনুষ্ঠানে কলা পোড়ার নিয়ম আছে। শাদ্ধের ইঙ্গিত করে গালি দেওয়া অর্থাৎ মর।
কলা বউ – লজ্জাশীলা বউ।
কাঁচা বাঁশে ঘুণ ধরা – অল্প বয়সে বিগড়ানো ।
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা – কানে জল দিয়ে জল বের কর।
কাকের বাসায় কোকিলের ছা-জাত স্বভাবের করে রা- রঙ যায়না ধুলে স্বভাব যায় না মলে, জন্মগত অভ্যাস পরিত্যাগ করা দুঃসাধ্য।
কাকের মাংস কাকে খায় না- স্বজন বা সগোত্রের প্রতি অনুরাগ।
কাজের বেলায় কাজি কাজ ফুরালে পাজি – হাতে পায়ে ধরে কাজ করানো আর কাজ ফুরালে খোঁজ না নেয়া।
কানে দিয়েছি তুলো পিঠে বেঁধেছি কুলো – প্রতিবাদ না করে অন্যায় সহ্য করা, নিজেকে সংশ্লিষ্ট না করা।
কারো শাকে বালি কারো দুধে চিনি- ক্ষতিগ্রস্তের আরো ক্ষতি, লাভবানের আরো লাভ।
কাল রাম রাজা হবে আজ বনবাস – আকস্মিক বিপর্যয়।
👉 Read More...👇