BCS-Solution

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

মৈত্রী যুক্তি
বাংলাদেশ ভারত ১৯৭২ সালে দীর্ঘ মেয়াদী বন্ধুত্ব ও নিরাপত্তা চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। এর মাধ্যমে দেশদুটির যুগল অর্থনৈতিক যাত্রা শুরু হয়।

ঋণ ও অনুদান
সাম্প্রতিক কালে ভারত বাংলাদেশকে তিন দফায় মোট ৮০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ২০১১ সালে দেওয়া হয় ১০০ কোটি ডলার। তাঁর মধ্যে ২০কোটি ডলার অনুদান। চার বছর পর নরেন্দ্র মোদির সফরে ২০০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ৫০০ কোটি ডলারের। এর মধ্যে ৫০ কোটি ডলার নির্ধারিত সামরিক খাতের জন্য। বাকিগুলো অন্যান্য খাতে ব্যয় হবে।

বাণিজ্য বৈষম্য
ভারত বাংলাদেশের মাঝে বাণিজ্য বৈষম্য অনেক। এটি কমিয়ে আনতে হবে। এক্ষেত্রে ভারত তার বৈশ্বিক আমদানির অন্তত ৫ শতাংশ পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে পারে।

অবৈধ ব্যবসা
দুদেশের সীমান্তের কিছু অবৈধ ব্যবসায়ী কালবাজারি করে আসছে। অনেক চেষ্টার পরও তাদের নিবৃত করা যায়নি। যদিও বর্তমানে ২২ টি স্থল বন্দর ও ৪ টি সীমান্ত হাট আছে।

অবৈধ অভিবাসী ইস্যু
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলো অবৈধ অভিবাসীর অভিযোগ করে আসছে।


রোহিঙ্গা ইস্যু
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ভারতের দুই বিশেষজ্ঞ। নিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত দ্বিতীয় কর্ম অধিবেশনে ভারতের সাবেক জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনেরেল(অবঃ) সৈয়দ আতা হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের সমর্থনে ভারতের আক্রমণাত্মক কূটনীতি চালানো উচিত। অথচ একই কর্ম অধিবেশনে ভারতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডিএসের গবেষণা ফেলো পুষ্পিতা দাস বলেন, চীনের সঙ্গে ভারতের কৌশলগত সম্পর্কের বিষয় থাকার কারণে মিয়ানমারকে বেশি চাপ দিতে পারে না ভারত।

নদীর পানি বণ্টন দুদেশের প্রধানমন্ত্রী(শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি) তিস্তা নদীর পানি বণ্টন যুক্তিতে রাজি থাকলেও পশ্চিম বঙ্গের বিরোধিতার কারণে এখনো সম্পন্ন হয়নি। যা বাংলাদেশের জনগণের মাঝে (অনেকের) ভারত বিদ্বেষী মনভাবকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। বাংলাদেশ ‘নিম্ন নদীর তীরবর্তী'(Lower Riparian Country) এলাকায় অবস্থানের কারনে যখন পানি আসে তা এ দেশে বন্যার সৃষ্টি করে।


ভৌগোলিক সমস্যা
বাংলাদেশের তিন দিকে ভারতের সাথে সীমান্ত আছে। দুদেশের মাঝে একক সীমান্তের দৈর্ঘে যা বিশ্বে পঞ্চম। তাই অনেকে বাংলাদেশকে India Locked Country ও বলে। এ কারণে ভারত বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক অযাচিত হস্তক্ষেপের সুযোগ পায়।

বহুপক্ষীয় সম্পর্কে জোর
নেপাল ও ভুটানে বিশাল জলবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটানের মধ্যে সৌহার্দ্যমূলক আলোচনা করতে হবে।

আরও দেখুন- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: দেনা-পাওনার হিসেব
ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি
বিভিন্ন সময়ে ভারত – বাংলাদেশ সম্পর্ক

Exit mobile version