সংবিধান সংশোধন : কত দূর এগোল গণতন্ত্র?(দ্বিতীয় অংশ)

কালের কণ্ঠ ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
প্রথম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে কায়েম হওয়া বাকশাল অবশ্য বেশি দিন টেকেনি। ১৯৭৫ সালে রক্তাক্ত অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ প্রবেশ করে এক দীর্ঘমেয়াদি সামরিক শাসনের কালে। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে খোদ চতুর্থ সংশোধনী কতটুকু ভূমিকা রেখেছিল, তা নিয়ে তর্ক হতে পারে, তবে তার ভূমিকা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। আর বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীটি আসে সেই সামরিক শাসন ও ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিতে। এই সংশোধনীর বলে ১৯৭৫ সালের আগস্ট থেকে যত ফরমান নির্দেশ, ঘোষণা দেওয়া হয় তার বৈধতা দেওয়া হয়। সংশোধনীটি গৃহীত হয় ১৯৭৯ সালে। এর মধ্যবর্তী সময়ে সংবিধানের কিছু অংশ স্থগিত ঘোষণা করেই পুরো কর্মকাণ্ড চলে, এ ক্ষেত্রে সংবিধান কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ক্ষমতা দখলের এত দিন পর এসে পঞ্চম সংশোধনীতে যেসব পরিবর্তন করা হয়, স্বাভাবিকভাবেই তার সংখ্যা অনেক। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হলো। এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার করা যাবে না মর্মে ঘোষণার মধ্য দিয়ে কতিপয় সামরিক কর্মকর্তার অভ্যুত্থানকে একটা বিপ্লবের মর্যাদা দেওয়া হয় এবং রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যে হত্যাকাণ্ডকে বিচারের ঊর্ধ্বে স্থাপনের বীজ রোপণ করা হয়। এই সংশোধনী মারফত

  • জাতীয় দল সংক্রান্ত ষষ্ঠ ‘ক’ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়
  • এবং বাকশালের অবসান ঘটে।
  • ধর্মীয় নামে রাজনৈতিক দল গঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
  • হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশদানের ক্ষমতা রহিত করা হয়।
    বিচারপতিদের অসদাচরণ কিংবা কর্তব্যে অবহেলার জন্য অপসারণের ক্ষমতা চতুর্থ সংশোধনী মারফত যা রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পণ করা হয়েছিল, তা জুডিশিয়াল কাউন্সিলের অনুমোদননির্ভর করা হয়।
  • সর্বোপরি এই সংশোধনীতে সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার যে মূলনীতি ছিল তা-ও পাল্টে দেওয়া হয়। মূলনীতি হিসেবে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র বদলে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ ও সমাজতন্ত্রের বদলে ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার এর অর্থে সমাজতন্ত্র’ যুক্ত করা হয়।
  • ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে ‘মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের’ বদলে ‘জাতীয় স্বাধীনতার জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
  • এবং সংবিধানের প্রস্তাবনার ওপর ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ যুক্ত করা হয় এই সংশোধনীতে।

এই পঞ্চম সংশোধনীটি এখন অবৈধ বলে ঘোষিত হলেও এর বহু কিছু তার চেহারা বদলে অথবা অবিকৃতভাবেই এখনো অনুসৃত হচ্ছে। সাধারণভাবে ধর্মীয় দলের উপস্থিতি, কিংবা ‘বিসমিল্লাহ’র বিষয়টিই এ ক্ষেত্রে আলোচিত হয়। কিন্তু পঞ্চম সংশোধনীতে গৃহীত ‘দায়মুক্তির’ নজির যে বিশেষ বাহিনীর হত্যাকাণ্ড কিংবা এমনকি সরকারের জ্বালানিবিষয়ক কর্মকাণ্ডের জন্য এখনো অব্যাহত; সেটার আলোচনা বিরল।

বাংলাদেশে ব্যক্তির প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনের নজির একাধিক। সংবিধানের নির্মাণের গোড়াতেই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করা এখানে প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ব্যক্তির ভূমিকাই নির্ধারণ করেছে। সংবিধানের ষষ্ঠ সংশোধনী এ রকম পরিবর্তনেরই একটি উদাহরণ। সেনা অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান নিহত হলে তাঁর জায়গায় উপরাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হলে উপরাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হয়। এই শূন্যতাকে সংবিধানসিদ্ধ করতেই করা হয় ষষ্ঠ সংশোধনী।

বাংলাদেশের সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী করা হয় আব্দুস সাত্তারকে হটিয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদের ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দিতে। বর্তমানে এই সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে তখন এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট, বামপন্থীদের জোট এই সংশোধনীর এই বলে বিরোধিতা করেছিল যে এটা বাংলাদেশের মুসলিম ছাড়া অন্যান্য ধর্মাবলম্বী জনগণকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করবে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী একে প্রকৃত ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের কর্তব্য আড়াল করতে ধোঁকাবাজি বলে চিহ্নিত করে এর বিরোধিতা করে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট কিংবা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট কেউই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রহিত করেনি। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অনেক হাঁকডাক করে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা বহাল করা হলেও রাষ্ট্রধর্ম ইসলামই রয়ে গেছে। ফলে রাষ্ট্র ও ধর্মের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবিধান এক অনন্য গোঁজামিলের নজির হয়ে আছে।

সংবিধানের নবম সংশোধনীটি করা হয় উপরাষ্ট্রপতির পদ সৃষ্টির জন্য এবং দশম সংশোধনী হয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৩০টি আসনের মেয়াদ পরবর্তী ১০ বছরের জন্য বাড়াতে।

এর পরবর্তী সময়ে তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে এরশাদের পতন হয়। বাংলাদেশে শুরু হয় নির্বাচিত ব্যক্তিদের শাসন। সামরিক স্বৈরাচারের বিদায়ের পর যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রত্যাশা দানা বেঁধে উঠেছিল তার কতটুকু প্রকাশ পরবর্তীকালে সংবিধানের সংশোধনীগুলোর ভেতর ঘটেছিল? একে একে এই সংশোধনীগুলো দেখলে ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে বলে মনে হয়।

বাংলাদেশের সংবিধানের একাদশ সংশোধনীটি করা হয় এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তাঁর পদত্যাগের ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান হিসেবে বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের দায়িত্ব পালন ও নির্বাচনপরবর্তী সময়ে আবারও তাঁর স্বপদে ফেরত যাওয়া নিশ্চিত করতে। এটাও ব্যক্তির প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনের আরেকটি দৃষ্টান্ত। তবে এই সংশোধনীতে জনগণের আন্দোলনকে স্বীকৃতি দেওয়া ও সামরিক শাসকের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করা সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক ঘটনা।

বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীটি হয় রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার থেকে প্রধানমন্ত্রীশাসিত সরকার প্রবর্তনের জন্য। যদিও একে পার্লামেন্টারি শাসন বা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার বলাটাই আনুষ্ঠানিক রীতি; কিন্তু আসলে দ্বাদশ সংশোধনী প্রধানমন্ত্রীর হাতে যে একচ্ছত্র ক্ষমতা তুলে দেয়, তাতে একে প্রধানমন্ত্রীশাসিত বলাই বাস্তবতা উপযোগী। যে রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থা ছিল তার পরিবর্তন হয়ে রাষ্ট্রপতির বদলে প্রধানমন্ত্রী সর্বময় ক্ষমতার মালিক হলেন এ সংশোধনীর মাধ্যমে। সংবিধানের ৭০ ও ৫৫ অনুচ্ছেদের সম্মিলিত ক্ষমতা সামরিক-বেসামরিক একনায়কদের ক্ষমতায়ই ক্ষমতায়িত করেছে প্রধানমন্ত্রীকে।

সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী গৃহীত হয় ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত একটি সংসদের মাধ্যমে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ও জামায়াতে ইসলামীর যৌথ আন্দোলনের মুখে তৎকালীন বিএনপি সরকার এই সংশোধনী গ্রহণে বাধ্য হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারে’র অধীনে করার বিধান গৃহীত হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের শাসক দলগুলো নিজেদের মধ্যেও যে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কোনো নির্বাচন করতে পারে না তার স্বীকৃতি আছে। একইভাবে তা এখানকার শাসনক্ষমতার এককেন্দ্রিক প্রবণতা যে চিরস্থায়িত্বের বাসনা তৈরি করে, তাকে আপাতত ঢেকে রেখে একটা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা আকারে হাজির করে।

সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী করা হয় নারীদের জন্য সংসদে সংরক্ষিত আসন ৪৫-এ উন্নীত করার জন্য। পঞ্চদশ সংশোধনীটি সবচেয়ে আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলোপের কারণে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি বাতিলের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীকেন্দ্রিক ক্ষমতার ক্ষেত্রে যে ‘তত্ত্বাবধায়ক বিরতি’ তৈরি হয়, তার বিলোপ ঘটে সব সময়ের জন্যই প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা তৈরি হয়। ক্ষমতার এই এককেন্দ্রিকতা একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানকেও অসম্ভব করে তোলে। এই সংশোধনীকে বলা হয়, ১৯৭২ সালে ফিরে যাওয়ার সংশোধনী। কিন্তু এই সংশোধনীর পরও সংবিধানের দ্বিতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও অষ্টম সংশোধনী মারফত যেভাবে গণতান্ত্রিক পরিসরকে খর্ব করা হয়েছিল কিংবা ধর্মীয় বৈষম্য তৈরি হয়েছিল, তা অব্যাহত থাকে। শুধু তা-ই নয়, এই সংশোধনীর মাধ্যমে জাতিগত পরিচয় হিসেবে যেভাবে বাঙালি ছাড়া অন্যান্য জাতিসত্তাকে অস্বীকার করা হয়েছে তাকে রীতিমতো জাতিবিদ্বেষী বলা যেতে পারে। এ ছাড়া এই সংশোধনী বাংলাদেশের ইতিহাস চর্চার গতিও ঠিক করে দেয় ১৫০(২) অনুচ্ছেদে দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ স্বাধীনতার ঘোষণা অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর ফলে সৃষ্ট জটিলতার ফলে বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যে জটিলতা তৈরি হয় তারই ফলাফল বর্তমান সংসদ। এই সংসদে ১৫৩টি আসনে একক প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন, তাঁদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই পাওয়া যায়নি। অন্যান্য আসনেও ভোটার উপস্থিতি ছিল নগণ্য। সংবিধানে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিধান থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভাবে একক প্রার্থীর নির্বাচনও স্বীকৃত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতের সংখ্যা যদি এমন হয় যে প্রত্যক্ষ ভোট ছাড়াই তা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আসনের পর্যায়ে যায়, তাহলে তা সংবিধানের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হওয়ার যে বিধান আছে, তাকেই অকার্যকর করে দেয়। অন্য বহু বিষয়ের মতো এ বিষয়েও সংবিধানে কোনো সুরক্ষা নেই। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনকে টেকনিক্যালি সঠিক বললেও তা সংবিধানে বর্ণিত প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের স্পিরিটের বিরোধী। ফলে এই সংসদ, যা বাস্তবত জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না, শুধু টেকনিক্যাল সঠিকতার দোহাই দিয়ে সেখানে সংবিধান সংশোধন এক ধরনের গায়ের জোর দেখানো ছাড়া কিছু নয়। ফলে সব অর্থেই এই সংশোধনী জনসম্মতিহীন। সংশোধনটি করার ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, এটা পঞ্চম সংশোধনী মারফত সামরিক শাসকরা যুক্ত করেছিল। কিন্তু আসলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা চতুর্থ সংশোধনী মারফত রাষ্ট্রপতির হাতে নেওয়া হয়, পঞ্চম সংশোধনীতে তা করার ক্ষেত্রে একটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সুপারিশের শর্ত যুক্ত হয় এবং পঞ্চদশ সংশোধনী মারফত সর্বশেষ তা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। বর্তমানে একে সংসদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য যে বিল উত্থাপিত হচ্ছে, তা কতটুকু সংসদের হাতে আর কতটুকু প্রধানমন্ত্রীর হাতে যাচ্ছে?

সংসদনেতা, দলের নেতা, রাষ্ট্রের সব নির্বাহী ক্ষমতার মালিক, সংবিধান বলে দলের সংসদ সদস্যদের ভোটের মালিক যখন একই ব্যক্তি ও সংসদে বিরোধী দল যখন কার্যত অনুপস্থিত, তখন সংসদের কাছে বিচারকদেরসহ সব সাংবিধানিক পদের অধিকারীদের অপসারণের ক্ষমতা প্রদান যে এক ব্যক্তির হাতেই সবার ভাগ্য নির্ধারণেরও দায়িত্ব তুলে দেওয়া, তাতে সন্দেহের তেমন কোনো কারণ নেই। এটা কোনো গণতান্ত্রিক শাসনের নয় বরং ক্ষমতার চরম এককেন্দ্রিকতার উদাহরণ। এর সঙ্গে বাংলাদেশে শাসকদের ক্ষমতা ছাড়তে অনীহার প্রশ্নটা যুক্ত করলে স্পষ্টতই গণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা হস্তান্তরের সব পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কাই সামনে এসে দাঁড়ায়। এভাবে গণতান্ত্রিক পথ রুদ্ধ হওয়ার দায় যারই হোক, এর খেসারত দিতে হয় গোটা জাতিকে। ইতিহাস বারবারই তা আমাদের দেখিয়েছে। আর যে ইতিহাস দুর্ভাগ্য আর দুর্ভোগের তাকে এড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ।

The End


👉 Read More...👇

Add a Comment