BCS-Solution

শক্তি ও নিরাপত্তা

শক্তি ও নিরাপত্তা(Power and Security) আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে শক্তি/ক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত বিষয়। আন্তর্জাতিক রাজনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে শক্তি বা ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আন্তর্জাতিক রাজনীতির মুখ্য নির্ধারক হচ্ছে শক্তি। শক্তি অর্জনের মাধ্যমে যে কোনো রাষ্ট্র বর্তমানে বিশ্বরাজনীতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে। জাতীয় শক্তি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। শক্তির মাপকাঠিতে জাতীয় ব্যবস্থাকে বিচার বিশ্লেষণ করা হয়।

শক্তির সংজ্ঞা
বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে শক্তির সংজ্ঞা দিয়েছেন। যেমন-
অরগ্যানস্কি(Organski) এর মতে, “অন্যের আচরণ নিয়ন্ত্রণের সামর্থ্যই শক্তি বা ক্ষমতা” ।
পামার ও পারকিন্স এর মতে, “শক্তি বলতে এমন এক উপায়কে বুঝায়, যার দ্বারা কোনো কোনো রাষ্ট্র এর অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক নীতিকে কার্যে প্রয়োগ করে।”
ক্লেচার এর মতে, “কাউকে ভয় দেখিয়ে বা পুরস্কৃত করে কোনো কাজ করানো বা নিজের মতে আনার সামর্থ থাকাটাই হলো শক্তি।”
জর্জ সোয়ার্জেনবার্গার এর মতে, “শক্তি হলো একজনের ইচ্ছাকে অন্যের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয়ার সামর্থ্য এবং যদি তারা সেতা মানতে না চায়, তখন তাদের উপর কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সামর্থ্য। ”

একটি জাতি শক্তিশালী হওয়ার উপাদান

আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের মতামতের উপর ভিত্তি করে একটি জাতির শক্তিশালী হওয়ার উপাদান বা কারণসমূহ উল্লেখ করা হলো—
১. ভৌগোলিক উপাদানঃ ভৌগোলিক উপাদান সমূহকে কয়েকটি অংশে বিভক্ত করা যায়।

• আয়তন ও প্রকৃতি
• অবস্থান
• ভূ-প্রকৃতি
• জলবায়ু ও আবহাওয়া
• প্রতিবেশী

২. জনসংখ্যা
৩. প্রাকৃতিক সম্পদ
৪. অর্থনৈতিক বিকাশ
৫. রাজনৈতিক কাঠামো
৬. দক্ষ নেতৃত্ব
৭. কূটনীতি
৮. সামরিক উপাদান
৯. জাতীয় চরিত্র, নৈতিক বল ও আত্মবিশ্বাস
১০. আন্তর্জাতিক মর্যাদা
১১. উৎপাদন ক্ষমতা
১২. যাতায়াত
১৩. বৈজ্ঞানিক দক্ষতা
১৪. সরকারি সংগঠন ও প্রশাসন
১৫. শক্তিশালী গোয়েন্দা বিভাগ
১৬. শিল্পক্ষেত্রে দক্ষতা

সংগৃহীত

Exit mobile version