ই-নথি

সরকারি কাজের গতি বাড়াতে ২০১৬ সালের মার্চ থেকে শুরু হয় ই-নথি কার্যক্রম। সরকারি কাজের সেবাকে ডিজিটাল করতেই ই-নথির
(e-file) উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ই-নথিকে বলা হচ্ছে কাগজহীন সরকারি দপ্তর। এটি দিয়ে সরকারি কাজের গতি ও স্বচ্ছতা বেড়েছে। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে দাপ্তরিক কাজে কমে আসছে দুর্নীতি ও সময়ক্ষেপণের সুযোগ। নাগরিকদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে আবেদন, জমি–জমা, কৃষিতথ্য, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাজকর্মসহ সব ক্ষেত্রে দ্রুত সেবা দেওয়া হচ্ছে ই-নথি(e File) কার্যক্রমে।

সরকারি কার্যালয়গুলোতে কাজ হয় পুরোনো ফাইলিং পদ্ধতিতে, যা ব্রিটিশ আমল থেকে হয়ে আসছে। এর বিপরীতে ই-নথির মাধ্যমে কাজ অনেক পরিবেশবান্ধব এবং আর্থিকভাবে কম খরচে হয়। আগে সাধারণত সরকারি কার্যালয়, দপ্তর বা বিভাগের কার্যক্রম কম্পিউটারে টাইপ করে বা হাতে লিখে পরিচালনা করা হতো। পরে তা সংরক্ষণ করা হতো। এতে সরকারি দপ্তরে ফাইলের স্তূপ জমত, নাগরিকেরা হয়রানির শিকার হতেন। একটি সাধারণ অফিস আদেশ হতে কখনো কখনো তিন থেকে চারটি টেবিল ঘুরতে হতো। ফলে কমে যেত কাজের গতি। এই ধীরগতির কাজকে দ্রুত করতে লাগত ঘুষ বা স্পিড মানি। এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতারা ঘরে বসে আবেদন করতে পারেন। একই সঙ্গে ঘরে বসেই নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যান। ফলে দপ্তরে এসে আগের মতো আর হয়রানির শিকার হতে হয় না তাঁদের।

ই-নথি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছে সরকারের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্তৃপক্ষ। এটুআই সূত্র জানিয়েছে, ই-নথির মাধ্যমে সরকারি কাজে জবাবদিহি বাড়ছে। কাগজমুক্ত ই-নথি ব্যবস্থাপনা সময় বাঁচাচ্ছে এবং জনগণ ও সরকারকে আরও ঘনিষ্ঠ করছে।

ই-নথির বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, ইলেকট্রনিক মাধ্যমে কাজ হচ্ছে বলে এই সেবার স্বচ্ছতা ও সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করা যায়। সময়ের মধ্যে কাজ নিষ্পন্ন করতে এই সেবা নিজেই সতর্কবার্তা দিচ্ছে। ফলে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা তৈরি হচ্ছে।
২০২১ সালের মধ্যে দেশের সব সরকারি দপ্তরকে ই-নথি ব্যবস্থাপনায় এনে কাগজের ব্যবহার একদম কমিয়ে আনাটাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
প্রথম আলো থেকে।

Add a Comment