সৌর কোষ(Solar Cell)
|সৌর কোষ(Solar Cell): চ্যাপিন, ফুলার ও অন্যান্যরা ১৯৫৪ সালে ব্যাপনকৃত সিলিকন p-n জংশন ব্যবহার করে সৌর কোষ উদ্ভাবন করেন।
সৌর কোষ আসলে সিলিকন দিয়ে তৈরী আলোক সংবেদী p-n জংশন। এর উপরের পৃষ্টে একটি গ্লাস বা প্লাস্টিকের একটা জানালা থাকে এর মধ্য দিয়ে সহজে আলো প্রবেশ করতে পারে। এর উপরে ও নিচে দুটি তড়িৎদ্বার(Electrode) থাকে। যা দিয়ে উৎপন্ন বিদ্যুৎ ব্যবহার করার জন্য সংযোগ দেওয়া হয়। p-টাইপ বস্তুর স্তর n- টাইপ বস্তুর তুলনায় খুবই পাতলা করা হয় যাতে আপতিক আলোক রশ্নি সজেই p-n জংশনে পৌঁছাতে পারে। আপতিত আলোর কণা বা ফোটন যোজনী ইলেকট্রনের সাথে ধাক্কা খায় এবং ইলেকট্রনকে যথেষ্ট শক্তি প্রদান করে, ফলে কিছু ইলেকট্রন মূল পরমাণু থেকে বেড়িয়ে আসে। এভাবে জংশনের উভয় পাশে মুক্ত ইলেকট্রন ও হোলের সৃষ্টি হয়। জংশনে বিরাজমান তড়িৎ ক্ষেত্রের প্রভাবে এসব ইলেকট্রন ও হোল পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জংশন পার হয়ে বিপরীত দিকে গমন করে। ইলেকট্রন ও হোলের এ প্রবাহ গৌণ তড়িৎ প্রবাহ বা Minority Current সৃষ্টি করে।
এ তড়িৎ প্রবাহের পরিমাণ, আলোক শক্তির পরিমাণ ও আলোকিত অঞ্চলের ক্ষেত্রফলের উপর নির্ভর করে। সূর্যের আলোতে রাখা হলে, এর মধ্যে ফটো ভোল্টেজ তৈরি হয় কোন বহিঃস্থ উৎস ছাড়াই। যতক্ষণ পর্যন্ত সৌর কোষে আলো পতিত হয়, ততক্ষণ আমরা এ থেকে তড়িৎ প্রবাহ পেতে পারি। এর সাহায্যে দিনের বেলা সঞ্চয়ক কোষকে(Battery) চার্জ করে রাখা হয়। রাতেরবেলা তা থেকে তড়িৎ প্রবাহ পাওয়া যায়।