গামা রশ্মি

গামা রশ্মি আসলে শক্তিশালী বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ। কাজেই এর কোনো চার্জ নেই (আধানহীন), . কিন্তু শক্তিশালী হওয়ার কারণে এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য খুব কম (কম্পন অনেক বেশি)। শক্তি বেশি বা কম হলেও এর বেগ সব সময়েই আলোর বেগের সমান। যখন কোনো নিউক্লিয়াস আলফা কণা কিংবা বিটা কণা বিকিরণ করে উত্তেজিত অবস্থায় থাকে তখন বাড়তি শক্তি গামা রশ্মি হিসেবে বের করে এটি নিরুত্তেজ হয়। গামা রশ্মি চার্জহীন এবং ভরহীন, তাই এর বিকিরণে নিউক্লিয়াসের পারমাণবিক সংখ্যা কিংবা নিউক্লিওন সংখ্যার কোনো পরিবর্তন হয় না।
গামা রশ্মির যেহেতু চার্জ নেই তাই এটাকে বিদ্যুৎ কিংবা চৌম্বক ক্ষেত্র দিয়ে প্রভাবিত করা যায় না। চার্জ না থাকার কারণে এটি অণু-পরমাণুকে সরাসরি আয়নিত করতে না পারলেও অন্যান্য প্রক্রিয়ায় সেই ইলেকট্রন অণু-পরমাণুকে আয়নিত করতে পারে এবং সেখান থেকে গামা রশ্মির অস্তিত্বও বোঝা
যায়। আলফা কিংবা বিটা কণার সমান শক্তিসম্পন্ন গামা রশ্মিকে থামাতে কয়েক সেন্টিমিটার সিসার পুরু পাতের দরকার হয়।

গামা রশ্মির ব্যবহার

  1. ক্যান্সার কোষ ধ্বংসে গামা রশ্মি ব্যবহার হয়।
  2. চিকিৎসার যন্ত্রপাতিকে জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহার হয়।
  3. মহাবিশ্বের শক্তি সম্পর্কীয় গবেষণার কাজে
  4. যেহেতু এর ভেদন ক্ষমতা উচ্চ তাই নিরাপত্তার কাজে বিমানবন্দরে
    বা কাস্টম হাউজে ব্যবহার করা হয়।

এক্সরে ও গামা রে

  1. উভয়ই চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।
  2. উভয়ই তড়িৎ চৌম্বকীয় বর্ণালীর অংশ। গামা ১০-১১মিটার থেকে ছোট এবং এক্সরে ১০-১১ — ১০-৮ মিটার।
  3. উভয় রশ্মির আয়নিত করার ক্ষমতা আছে।


👉 Read More...👇

Add a Comment