জেনারেল ওসমানী কে “পাপা টাইগার” বলা হতো কেন?

মাত্র ২৩ বছর বয়সে নিজ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে বৃটিশ সেনাবাহিনীর মেজর পদে উন্নীত হয়ে তিনি রেকর্ড সৃষ্টি করেছিলেন অক্ষুন্ন ছিল বহুদিন। তাছাড়া অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি বৃটেনের হয়ে বার্মা ফ্রন্টে জাপানিজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। ভারত-পাকিস্তান আলাদা হওয়ার পর তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। বাঙ্গালীদের প্রতি পাকিস্তানীদের বৈষম্যের সবচেয়ে বড় উদাহরণ জেনারেল ওসমানী। কারণ পাকিস্তানী বাহিনীর প্রথম দশকে তিনি প্রমোশন পেয়ে কর্নেল হওয়ার পরেও যোগ্যতা থাকার সত্ত্বেও পরের দশকে আর কোন প্রমোশন পাননি তিনি। কর্নেল হয়েই তার অবসরগ্রহণ করতে হয়। ইয়াহিয়া খান,টিক্কা খান এবং নিয়াজীর সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও তাকে বৈষম্যের শিকার হয়ে ওসমানীকে এদের অধীনে কাজ করতে হয়। পাকিস্তানী আর্মিতে ওসমানীকে ধরা হত নিয়মানুবর্তিতার বিমূর্ত প্রতীক হিসেবে। ওসমানী পাকিস্তান আর্মির স্টাফ অফিসে কর্মরত থাকার সময় ইস্ট বেঙ্গলগুলো গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে এই ইস্ট বেঙ্গলগুলো মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেন। এই কারণে ওসমানীকে “পাপা টাইগার” বলা হতো। তিনি বেঙ্গল রেজিমেন্টর সৈন্যদের বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে কাজী নজরুলের “চল চল চল” গানটিকে তিনি তার রেজিমেন্টের রণসঙ্গীত হিসেবে বাছাই করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে বাঙ্গালী অফিসারদের উপর ওসমানীর প্রভাব ছিল অনেক বেশী।

সংগৃহীত

Add a Comment